মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে।
আজ সোমবার থেকে এই নিবন্ধন হওয়ার কথা থাকলেও দাফতরিক সমস্যার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে শুরু করতে পারেনি কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।
তবে মঙ্গলবার থেকে রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন কার্যক্রম চালুর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন।
তিনি বলেন, দাফতরিকভাবে কিছু সমস্যার কারণে সোমবার নির্ধারিত রোহিঙ্গা রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। আমরা সব কাজ গুছিয়ে নিয়েছি। মঙ্গলবার রোহিঙ্গা নিবন্ধনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করতে পারব বলে আশা করছি।
সবকিছু ঠিক থাকলে প্রতিদিন গড়ে ৭০০ রোহিঙ্গাকে তালিকাভুক্ত করা সম্ভব হবে। সংশ্লিষ্টরা এমনটি ধারণা দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন ইউএনও।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে খোলা কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) খালেদ মাহমুদ জানান, রোহিঙ্গাদের জন্য উখিয়ার কুতুপালং এলাকায় ২০০ নতুন ঘর তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব ঘরে সাময়িকভাবে রোহিঙ্গাদের রাখা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে এখানে এক হাজার ৬০০ পরিবার অবস্থান করছে। পরবর্তীতে আরও ঘর নির্মাণ করে সব রোহিঙ্গাকে একসঙ্গে একই এলাকায় রাখা হবে।’
উল্লেখ্য, মিয়ানমার সেনাদের বর্বরতায় গত ২৫ আগস্টের পর থেকে প্রতিদিন অন্তত ১৫ হাজার রোহিঙ্গা দেশ ছাড়ছে।
গত ১২ দিনে ৪ লাখের অধিক নতুন রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে টেকনাফ-উখিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে।
সহযোগিতা দেয়া ও নিরাপত্তার সুবিধার্থে এসব রোহিঙ্গাকে নিবন্ধনের মাধ্যমে পরিচয়পত্র দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সে অনুযায়ী, মঙ্গলবার থেকে তাদের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরুর কথা রয়েছে।