• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:৫০ অপরাহ্ন

রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন শুরু

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ আর নির্যাতন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন মঙ্গলবার শুরু হয়েছে।

সোমবার দিবাগত রাতে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে নিবন্ধন শুরুর প্রথমে রোহিঙ্গা নারী রুবিয়া খাতুন বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হন।

তবে সোমবার দিনে এই নিবন্ধন কার্যক্রম চালুর কথা ছিল। দাফতরিক জটিলতার কারণে নিবন্ধন কার্যক্রম পরে শুরু হয়।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন জানান, সহযোগিতা ও নিরাপত্তার সুবিধার্থে রোহিঙ্গা নিবন্ধনের মাধ্যমে পরিচয়পত্র দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে প্রতিদিন গড়ে ৭০০ রোহিঙ্গাকে তালিকাভুক্ত করা সম্ভব হবে।

নিবন্ধনের জন্য কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প ছাড়াও অন্যান্যস্থানে আরও ১৫-২০টি নিবন্ধন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।

বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের জন্য তিন ধরনের প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে। প্রক্রিয়া অনুযায়ী, প্রথমে রোহিঙ্গাদের ব্যক্তিগত তথ্য নেয়া হচ্ছে। এতে থাকছে নাম, মা-বাবা নাম, দেশ, ধর্ম, লিঙ্গসংক্রান্ত তথ্য। এরপর তাদের ছবি তোলা হচ্ছে। নেয়া হচ্ছে আঙুলের ছাপ।

নিবন্ধনের ফলে এবার আসা ৩ লাখের বেশি রোহিঙ্গা সম্পর্কে তথ্য সরকারের কাছে থাকবে। পাশাপাশি নিবন্ধনের পর রোহিঙ্গাদের যে কার্ড দেয়া হবে, তা দিয়ে তারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবেন।

এদিকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে খোলা কন্ট্রোলরুমের ইনচার্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) খালেদ মাহমুদ জানান, রোহিঙ্গাদের জন্য উখিয়ার কুতুপালং এলাকায় ২০০ নতুন ঘর তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব ঘরে সাময়িকভাবে রোহিঙ্গাদের রাখা হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে এখানে এক হাজার ৬০০ পরিবার অবস্থান করছে। পরবর্তী সময় আরও ঘর নির্মাণ করে সব রোহিঙ্গাকে একসঙ্গে একই এলাকায় রাখা হবে।’

উল্লেখ্য, মিয়ানমার সেনাদের বর্বরতায় গত ২৫ আগস্টের পর থেকে প্রতিদিন অন্তত ১৫ হাজার রোহিঙ্গা দেশ ছাড়ছে। গত ১২ দিনে ৪ লাখের অধিক নতুন রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে টেকনাফ-উখিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page