এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর থেকে পাঁচ নম্বর কেটে নেয়ার সরকারি আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
একইসঙ্গে দ্বিতীয়বার অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের পাঁচ নম্বর কেটে মেধাতালিকা তৈরি করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত ২১ আগস্টের পত্রিকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এ বিজ্ঞপ্তির ৬ নম্বর কলামে বলা হয়, ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় আগের বছর এইচএসসি উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সর্বমোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর কর্তন করে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে। অন্যদের কাটা হবে না। এই সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক। এ সিদ্ধান্ত সংবিধানের ৭, ২৬, ২৭, ২৮ ও ৩১ অনুচ্ছেদ পরিপন্থি।
এরপর এ বিষয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি রিট আবেদন করা হয়।
রিট আবেদনে স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন), বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছিল।
আজ আদালত মেডিকেল কলেজগুলোতে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর থেকে পাঁচ নম্বর কেটে নেয়ার সরকারি আদেশ স্থগিত করেলেন।