• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন

তদন্ত কমিটি গঠন রংপুরে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের টাকা আত্মসাত ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

রংপুর প্রতিনিধি॥
রংপুরের পীরগাছায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সুবিধাভোগিদের পাশবহি ও মাষ্টার রোলের সাথে অন-লাইন হিসাবে সঞ্চয় ও ঋণ আদায় ও বিতরণে প্রায় ৭০ লাখ টাকার গড়মিল ও ৪০ লাখ টাকা অফিস ঘাটতি দেখিয়ে আতœসাত করার  ঘটনা সংবাদপত্রে প্রকাশিত হলে টনক নড়ে প্রশাসনের। অবশেষে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে ওই তদন্ত কমিটি গোপনে ও প্রকাশ্যে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। এদিকে বহিস্কৃত তৎকালীন উপজেলা সমন্বয়কারী মোঃ শাহ্ আলম মন্ডল এবং কম্পিউটার অপারেটর কাম-হিসাব সহকারি মোঃ নুরুল হক তদন্ত কার্যক্রমকে প্রভাবিত করে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, ওই প্রকল্পটি গত ২১/১১/২০১৫ তারিখে “একটি বাড়ি একটি খামার” প্রকল্পের ২৬নং অভ্যন্তরীন অডিট টিম পীরগাছা উপজেলায় সুবিধাভোগিদের পাশবহি ও মাষ্টার রোলের সাথে অন-লাইন হিসাবে সঞ্চয় ও ঋণ আদায়-বিতরণে ৬৯,৪৬,৩২৩/- টাকা গড়মিল এবং অফিস ঘার্তি ৩৮,৫২,৮২৮/- টাকা আতœসাতে উল্লেখ করে রিপোর্ট প্রদান করেন।  পরবর্তিতে অনিয়ম-দূণীতি ও অর্থ  আতœসাতের জন্য তৎকালীন উপজেলা সমন্বয়কারী, পীরগাছা, রংপুর মোঃ শাহ্ আলম মন্ডল এবং কম্পিউটার অপারেটর কাম-হিসাব সহকারি মোঃ নুরুল হককে ১৩/০৩/২০১৫ তারিখে সাময়িক বরখাস্ত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয় এবং বিষয়টি তদন্ত করতে গঙ্গাচড়া ও বদরগঞ্জ উপজেলা সমন্বয়কারী  মোঃ লেবু মিয়া ও মোঃ আতিকুল ইসলাম সাহেবকে প্রধান কার্যালয় থেকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তারা পীরগাছা অফিসে এস বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত না করে ঢালাওভাবে অফিসে কর্মরত সকল স্টাফদের নিকট থেকে মোটা অর্থ টাকা দাবী করেন।  পরে তদন্ত কর্মকর্তাদ্বয় তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে অফিসের সমস্যা সামাধান কল্পে সকলের সহযোগিতা চাইলে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া উপজেলা সমন্বয়কারী ও কম্পিউটার অপারেটর কাম-হিসাব সহকারিকে এক লাখ, ফিল্ড সুপারভাইজারদের ৫০ হাজার টাকা করে এবং মাঠ সহকারিদেরকে ২৫ হাজার টাকা করে  আদায় করা হয়। এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তাদ্বয় আবারো অর্থ দাবি করলে ফিল্ড সুপারভাইজার এরশাদুল আলম ও মাহবুবার রহমান টাকা দিতে অস্কীকার করলে  ওই দুজনকেও মিথ্যা সাজানো ঘটনা সাজিয়ে বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্ত হওয়া মাহবুবার রহমান ও এরশাদুল আলম এ ঘটনায় ওই প্রকল্পের নানা অনিয়ম তুলে ধরে ঘটনাটি তদন্ত তাদের স্বপদে বহালের  জন্য রংপুর জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেন। যা স্থানীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি তদন্তের জন্য সুপারিশ করেন। পরে বিষয়টি অনুসন্ধান করে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে টনক নড়ে প্রশাসনের। পরে উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলামকে আহবায়ক ও আর ডি ও কে সদস্য সচিব করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদস্ত কমিটি গঠন করা হয়। এরপর তদন্ত কমিটি কার্যক্রম শুরু করলে অভিযুক্ত তৎকালীন উপজেলা সমন্বয়কারী মোঃ শাহ্ আলম মন্ডল এবং কম্পিউটার অপারেটর কাম-হিসাব সহকারি মোঃ নুরুল হক অর্থের বিনিময়ে দলীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্তদের নিকট মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তারা এ প্রতিবেদকের নিকট অনিয়ম-দূনীতির কথা স্বীকার করে বলেন, ভাই ভূল হয়ে গেছে। এ রকম ভূল আর হবে না।
এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম জানান, তদন্ত কার্যক্রম চলছে। তবে এটি সময়ের ব্যাপার।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page