উত্তর কোরিয়া পরমাণু কর্মসূচি আরো জোরদারের অঙ্গীকার করেছে। পিয়ংইয়ংয়ের সর্বশেষ ও সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক পরীক্ষার পর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা আরোপের জবাবে দেশটি এমন অঙ্গীকার ব্যক্ত করলো। সংশ্লিষ্ট মার্কিন ওয়েবসাইট ৩৮ নর্থ জানায়, উত্তর কোরিয়ার পরীক্ষা চালানো পারমাণবিক অস্ত্রের ক্ষমতা ছিল প্রায় ২৫০ কিলোটন। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা জারির পরদিনই কঠোর ভাষায় জবাব জানালো উত্তর কোরিয়া। দেশটির নেতা কিম জং উন জানায়, এবার যুক্তরাষ্ট্রকে নিদারুণ যন্ত্রণা দেয়া হবে। গতকাল বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সোমবার নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে দেশটির বিরুদ্ধে সবশেষ যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তার প্রতিক্রিয়ায় এমনটা জানায় পিয়ং ইয়ং। জাতিসংঘে উত্তর কোরীয় রাষ্ট্রদূত হান টায়ে সং জেনেভায় এক বৈঠকে বলেন, তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণাদায়ক হবে। যা সম্পর্কে দেশটির কোনো ধারণাই নেই। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মঙ্গলবার তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, আসলে যা ঘটতে যাচ্ছে তার তুলনায় এই অবরোধ কিছুই নয়। তিনি মনে করেন যে, নিরাপত্তা পরিষদে কোন ইস্যুতে সবার সম্মতি পাওয়াটা অনেক বড় ব্যাপার। তবে, সবশেষ অবরোধ উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে পুরো বিশ্বের একরকম ধৈর্য্যেরই বহিঃপ্রকাশ বলে জেনেভায় একটি নিরস্ত্রীকরণ বৈঠকে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রতিনিধি রবার্ট উড। উড বলেছেন যে, গত মঙ্গলবারের সিদ্ধান্ত উত্তর কোরিয়াকে স্পষ্ট বার্তাই দেয় যে তাদের উস্কানিমূলক আচরণে পুরো বিশ্বই ক্লান্ত। আর বিশ্ব এখন পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত হচ্ছে। এই অবরোধ দেশটিকে তাদের পরমাণু অস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধে সহায়তা করবে বলেই আমার বিশ্বাস। সর্বশেষ অবরোধে উত্তর কোরিয়ায় কিছু মাত্রায় অপরিশোধিত তেল, কয়লা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা এসেছে দেশটির আয়ের অন্যতম উৎস তৈরি পোশাকে এবং অন্যান্য দেশে কাজ করতে যাওয়া কর্মীদের ওপরও। বিবিসি, রয়টার্স।
You cannot copy content of this page