প্রথম থেকেই দেখে এসেছি ঈদ এলে কোম্পানিগুলো আলাদাভাবে আয়োজন করে আসছে। এখনও তাই করা হয়। শুধু প্রকাশের মাধ্যমটা হয়তো কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। আমেজ আগের মতোই আছে। আগে কোম্পানিগুলো ক্যাসেট বা সিডি প্রকাশের জন্য একটি উৎসবমুখর আয়োজন করত, এখন অ্যালবামের পাশাপাশি সিঙ্গেল গান প্রকাশ করছে। সেটিও হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে। তথ্যপ্রযুক্তির এমন ব্যবহার সময়ের দাবি। কাজেই ঈদ ঘিরে আমেজ এখনও আছে বলেই আমার মনে হয়। তাছাড়া এখন যে ধাঁচের গান প্রকাশ হচ্ছে সেগুলো ভালো বলেই মনে হয়। কারণ এর চেয়ে বেশি মডিফাই করে আরও আধুনিক করতে গেলে গান এলোমেলো হয়ে যেতে পারে। তখন সেগুলো পুরোপুরি মেশিননির্ভর হয়ে যাবে। বরং আগের চেয়ে এখন দর্শকরা বাড়তি একটি বিষয় উপভোগ করতে পারেন। তা হচ্ছে মিউজিক ভিডিও। যেহেতু সবাই গান শোনার পাশাপাশি দেখতে চান, তাই বিশেষ দিবসে তাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সুস্থ ধারার মিউজিক ভিডিও তৈরি করা উচিত। তবে ঈদের গানে আনন্দের আমেজ যেন থাকে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। পাশাপাশি শ্রোতারা কি ধরনের গান শুনতে চান তা বুঝে গান করতে হবে। আমার মনে হয় নতুনরা খুব ভালো করছে। তাদের আলাদাভাবে এসব বিষয়ে বলতে হবে না। ঈদকে কেন্দ্র করে নবীন-প্রবীণ সবারই একরকম দায়িত্ব নিয়ে কাজ করা দরকার। তাছাড়া সুন্দর লিরিকস, সুর আর কম্পোজিশন একটি গানকে অনেকটা পরিপূর্ণতা দেয়। ঈদের গানে এ বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখলে আমরা শিল্পীরা দর্শক-শ্রোতাদের চাহিদা পূরণ করতে পারব। তাছাড়া গান যদি ভালোই না হতো তবে মানুষ গান শুনতেন না। তারা গান শোনেন বলেই কিন্তু প্রতি ঈদে শত শত গান প্রকাশ পাচ্ছে। সবশেষ যে বিষয়টি বলতে চাই, বিশেষ দিবসে আমাদের শিল্পীদের কাছে দর্শক-শ্রোতাদের প্রত্যাশা শুরু থেকে এখন পর্যন্ত একটু বেশি দেখে এসেছি। তাই আমাদের দায়বদ্ধতার জায়গাটাও অনেক বেশি থাকে। বিশেষ দিবসে সবার আনন্দ অনেক বেড়ে যায়, যদি তার পছন্দের একজন শিল্পীর কাছ থেকে পছন্দসই গান উপহার পান। আমরা যেন ভালো, মানসম্মত গান শ্রোতাদের উপহার দিতে পারি সে চেষ্টা আমাদের সব শিল্পীর মাঝে থাকা উচিত।

Share Button