সারাদেশ | তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৭ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 223 বার

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি॥
ঢাকার ধামরাই পৌরসভার ময়লার বিলকে কেন্দ্র করে এক ব্যবসায়ীকে মেয়রের নিজ কক্ষে নিয়ে প্রচন্ড মারধর করলেন মেয়র। এই ঘটনায় এলাকায় উক্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানা যায়। যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা, এই আশংকা করছে এলাকাবাসি।
ধামরাই বাজারের মোখলেছুর ফেবিক্্র এন্ড কেøাথষ্টোরের মালিক মোঃ হাসিবুর রহমান মোরাদ জানান বুধবার ১৩ সেপ্টম¦ও বেলা ১,৩০ মিনিটে আমি এবং আমার বাবা দোকানে বেচা বিক্রি করার সময় পৌরসভার তৃষ্ণা আক্তার নামে এক কর্মী আমার দোকানে এসে ময়লার বিলের ৬৮ টাকা দাবি করেন।
তখন আমি তাকে বলাম যে আমরা তো প্রতি মাসে ৫০ টাকা করে ময়লার বিল দেয় তাহলে আবার বাৎসরিক ৬৮ টাকা দেব কেন এই কথা বলার পর তৃষ্ণা আক্তার বলে এই ৬৮ টাকা দিতে হবে। আমি তখন ঔ কর্মীকে বললাম চলেন পৌরসভায় যাব, কিন্তু তিনি পৌরসভায় না গিয়ে দোকানে তর্ক বির্তক করলে এক পর্যায় আমি দোকানের সাটার নামিয়ে পৌরসভায় যাওয়ার কথা বললে ঔ কর্মী কন্নাকাটি করে পৌর মেয়রকে মোবাইলে মাধ্যমে জানালে পৌর মেয়র তার কথা শুনে পৌরসভা থেকে সার্ভেয়ার মোঃ দেলোয়ার হোসেন, রতন কুমার, নিখলো খান মজলিসকে, পাঠালে তারা গিয়ে আমাকে বেধেঁ পৌরসভার মেয়রের কক্ষে নিয়ে যায়।
ঐ কক্ষের ভিতরে মেয়রসাব আমাকে টেবিলের সাথে বেধেঁ কিল, ঘুষি, লাথিসহ চেয়ার দিয়ে মারতে মারতে ফ্লোরে ফেলে দেন। এরপর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। তার পর কে বা কারা আমার মাথায় পানি দেয় জানিনা। তবে কিছুক্ষন পর জ্ঞান ফিরলে আমাকে দিয়ে তৃষ্ণা আক্তারের পা ধরিয়ে মাপ চাওয়ানো পর আমাকে আবার রোমের ভিতরে আটকে রাখা হয়। এর পর এলাকায় এই খবর জানা জানি হলে এলাকার লোক জন এসে আমাকে উদ্ধার করে।
এই ঘটনায় মোরাদের স্ত্রী অনি ইসলামের বলেন আমি ঐ পৌরসভার কর্মী তৃষ্ণা আক্তারের কাছে ঘটনা সম্পকে জানতে চাইলে তিনি কোন কিছু না বলে এরিয়ে যায়। পরে আমার কাছ থেকে ফরমে স¦াক্ষর করিয়ে রাখে মেয়র।
এই ব্যাপারে তৃষ্ণা আক্তার বলেন আমি পৌরসভার ময়লার ব্যৎসরিক বিলের টাকা আনতে গেলে মোরাদ আমাকে টাকা না দিয়ে আমাকে মারধর করে এবং অশালিন কথা বার্তা বলেন। আমি এই ঘটনা মেয়রকে জানায়।
এই ব্যাপারে পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম কবির মোল্লা জানান পৌরসভার কর্মী তৃষ্ণা আক্তার বলে আমি ব্যৎসরিক ময়লার বিল আনতে গেলে মোরাদ আমাকে মারধর করে এবং অশালিন কথা বার্তা বলে কান্নাকাটি করে। তখন আমি পৌরসভা থেকে লোক পাঠায় মোরাদকে পৌরসভায় আনার জন্য।এই সময় কয়েকজন কাউন্সিলরের উপস্থিতে মোরাদকে ও তৃষ্ণাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের মধ্যে সমঝোতা করে দিয়েছি বলে জানান।
Leave a Reply