অব্যাহত বর্বর নির্যাতনের শিকার মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য প্রয়োজনে সামরিক ব্যবস্থা নিয়ে স্বাধীন করার দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।
শনিবার ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় পৃথক পৃথক সভায় এ দাবি জানায় হেফাজত।
রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্মম হত্যা ও বর্বর নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং সামরিক ব্যবস্থা নিয়ে আরাকান স্বাধীন করার দাবিতে মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি সফলের লক্ষ্যে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে এসব সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাগুলোতে বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর আহ্বায়ক আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীসহ অন্য নেতারা।
সভায় নেতারা বলেন, আরাকান স্বাধীন ও রোহিঙ্গাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা আহমদ শফীর ঘোষণায় ঈমানদার ইসলামি জনতা কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে।
নেতারা সোমবার সকাল ১১টায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে কেন্দ্রীয়ভাবে মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি সফলের জন্য আলেম-ওলামাসহ সর্বস্তরের মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানান।
সকাল ৭টায় মিরপুর এলাকায় আরজাবাদ মাদ্রাসায় মাওলানা আবদুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে, সকাল ১১টায় মোহাম্মদপুর এলাকায় জামিআ রাহমানিয়া আরাবিয়ায় মাওলানা আবুল কালামের সভাপতিত্বে, বাদ জোহর কামরাঙ্গীরচর ও কেরানীগঞ্জ এলাকায় মাওলানা শাহ আতাউল্লাহর সভাপতিত্বে, বিকালে ফরিদাবাদ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে এবং সাইনবোর্ড এলাকায় জামিআ ইব্রাহিমিয়া মাদ্রাসায় মাওলানা মুফতি শফীকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসব সভায় স্থানীয় মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল, ইমাম-খতিব ও আলেম-ওলামারা উপস্থিত ছিলেন।
সভাগুলোতে অন্য নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা জহিরুল হক ভূঁইয়া, মাওলানা জুনাঈদ আল হাবীব, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মুজিবুর রহমান পেশওয়ারী, হাকীম আবদুল করিম, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা শরীফুল্লাহ প্রমুখ।
এদিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলও করে হেফাজত।
নেতারা বলেন, ‘শুধু প্রতিবাদ ও সমাবেশ দিয়ে মিয়ানমারে হত্যা বন্ধ হবে না। জিহাদ ঘোষণা করে সামরিক সৈন্য পাঠিয়ে আরাকানকে স্বাধীন করার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’