জাতীয় | তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 174 বার

আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় বাংলাদেশ। প্রথমে মানবিক দিকটা বিবেচনা করা হচ্ছে। এটা বিবেচনায় নিয়েই রোহিঙ্গাদের এখানে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। এরপর আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রোববার দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে নবনিযুক্ত সহকারী জজদের ৩৬তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার কোনো পদক্ষেপ নেয়া হবে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, রোহিঙ্গা নিয়ে যা হচ্ছে সেটা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। কিন্তু অভ্যন্তরীণ ব্যাপার এই পর্যায়ে যেতে পারে না। জনগণকে এইভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করতে পারে না। তাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করতে পারে না। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করার জন্য আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যথেষ্ট কাজ করছে। বেশ সফলতাও অর্জন করেছে। এটা আপাতত চালিয়ে যাওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার বিষয়ে আইনি কোনো বিষয় আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের যেভাবে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হচ্ছে। একটা শিশুর বাবা-মাকে হত্যা করে রাস্তায় ফেলে দেয়া হচ্ছে, এক্ষেত্রে মানবিকতাটাই বড় বিষয়। আইনের কি প্রয়োজন আছে? ১৯৭১ সালে আমাদের যখন ভারত সহায়তা করেছিল সেখানে কোনো আইনের প্রয়োজন ছিল কি না এমন প্রশ্নও রাখেন আইনমন্ত্রী।
ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের রিভিউ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেলকে আমি যখন চিঠি দেব তখনই তিনি মনে করবেন রিভিউ দাখিল করার সরকারের ফরমালি সিদ্ধান্ত। সেটাই যদি হয়, তাহলে সে ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, রায়টা হচ্ছে ৭৯৯ পাতা। প্রত্যেকটা পাতা অত্যন্ত নিবিড়ভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। যে আমরা কী কী বাদ দিতে চাই। ঢালাওভাবে তো আর আমরা বাদ দিতে বলতে পারি না। শেষ পর্যন্ত এটা আদালতে সিদ্ধান্ত হবে। এসব বিষয় ভেবে-চিন্তে এবং রায়টি অত্যন্ত নিবিড় পর্যবেক্ষণ করেই রিভিউ করা হবে।
Leave a Reply