মানচিত্র ও জাতীয় পতাকার মানহানির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৫ অক্টোবর আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আত্মসমর্পণ না করলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলে আদেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূর নবী এই আদেশ দেন। মামলার বাদী জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী আদালতে হাজির ছিলেন।
গত বছরের ৩ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে নালিশি মামলাটি করেন বাদী। মামলায় বলা হয়, খালেদা জিয়া ২০০১ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করে স্বাধীনতাবিরোধী আলবদর রাজাকারদের হাতে মন্ত্রিত্ব তুলে দেন। যার মাধ্যমে স্বীকৃত স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকার মানহানি ঘটিয়েছেন তিনি।
গতকাল আদেশে বলা হয়, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এ মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর নয়। শুধু মানহানি সংক্রান্ত অপরাধ যা জামিনযোগ্য। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শেষে পুলিশের দাখিল করা প্রতিবেদন গ্রহণ করে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করা হয়। এরপরও আদালতে হাজির হননি। আসামিকে আগামী ৫ অক্টোবর স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া গেল।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে সামরিক সরকারের দায়িত্ব নিয়ে ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসলে তাকে হুমকি দিয়ে তার ধানমন্ডির বাবার বাড়িতে প্রবেশ করতে দেননি। মামলায় জিয়াউর রহমানকেও আসামির তালিকায় রাখা হয়ে।