আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা ও সেনাবাহিনী মোতায়েনের পক্ষে মত দিয়েছে সংলাপে অংশ নেয়া দুই দল।
দল দুটি হচ্ছে, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি)।
সোমবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপে অংশ নিয়ে ন্যাপ ২১ দফা ও পিডিপি ১৭ দফা প্রস্তাব দেয়।
নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা, তফসিল ঘোষণার পর সংসদ ভেঙে দেয়া, বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন, ‘না’ ভোট চালুসহ নির্বাচন কমিশনকে ২১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ)।
অন্যদিকে লটারির মাধ্যমে সংসদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ, ‘না’ ভোট চালু করা ও কেন্দ্রভিত্তিক সেনাবাহিনী মোতায়েনসহ ১৭টি প্রস্তাব দিয়েছে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি)।
সকালে ইসির সংলাপে অংশ নেয় বাংলাদেশ ন্যাপ। দলটির অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে আছে—সংসদ নির্বাচনের অন্তত এক বছর আগে থেকে সব দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, ‘না’ ভোট চালু করা, প্রবাসীদের ভোটাধিকার দেয়া, সংসদীয় আসনসংখ্যা বাড়ানো, রাজধানীসহ শহরাঞ্চলে আসন নির্দিষ্ট করে দেয়া, অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার বিধান করা ইত্যাদি।
বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়াসহ দলটির ১১ জন প্রতিনিধি সংলাপে অংশ নেন।
বিকালে ইসির সংলাপে অংশ নেয় পিডিপি। দলটির পক্ষ থেকে নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ঐচ্ছিক ছুটিতে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে নির্বাহী প্রধান এবং অন্যান্য কমিশনার ও অবসরপ্রাপ্ত সামরিক বেসামরিক আমলাদের সমন্বয়ে একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হতে পারে। এছাড়া ইভিএম চালু না করা, অর্থ ও পেশিশক্তির ব্যবহার বন্ধে আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করার প্রস্তাব করেছে পিডিপি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে সংলাপে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরীসহ কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।