• রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:০১ পূর্বাহ্ন

ফরিদপুরে ওএমএস’র আতপ চাউল পরিবর্তনের দাবী ক্রেতাদের

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

ফরিদপুর প্রতিনিধি॥
ফরিদপুরে সরকার নিয়ন্ত্রিত ওএমএস এর ক্রেন্দ্রগুলোতে সরবরাহকৃত আতপ চাউল পরিবর্তন করে সিদ্ধ চাউল বরাদ্দের দাবী ক্রেতাদের। এ অঞ্চলের মানুষ আতপ চাউল খেতে অভ্যস্ত না হওয়ায় এ চাউল পরিবর্তনের পাশাপাশি আটা প্রদানের দাবী জানিয়েছে। বিষয়টি উদ্ধতনদের জানানো হয়েছে বললেন জেলা প্রশাসক।
সারা দেশের ন্যায় ফরিদপুরেও শুরু হয়েছে খোলা বাজারে চাল বিক্রির কার্যক্রম। সরকার কর্তৃক সরবরাহকৃত আতপ চাল চলছেনা ফরিদপুরের খোলা বাজারে। চাল কিনতে এসে ফিরে যাচ্ছেন ক্রেতারা। আতপ চাল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ডিলাররা। ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা এলাকার ডিলার মীর আব্দুল জলিল। ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর দুই দিনে দুই মেট্রিকটন চাউল বরাদ্দ পেলেও বিক্রি করেছেন মাত্র তিনশ কেজি চাউল।
আর বৃন্দাবনের মোড়ের ডিলার যুবায়রুল হক বুধবার সকাল থেকে বেলাএকটা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন ছয়জন গ্রাহকের নিকট পাঁচ কেজী করে ত্রিশ কেজী চাউল।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, জেলার সদর ব্যাতিত আটটি উপজেলায় বুধবার থেকে ওএমএস চাউল বিতরণ শুরু হয়েছে। আর সদর উপজেলায় পাঁচজন ডিলারের মাধ্যমে মঙ্গলবার থেকে বিতরণ শুরু হয়। সদরে দিনে পাচ টন করে দুই দিনে ১০ মেট্রিক টন (১০হাজার কেজী) চাউল সরবরাহের কথা থাকলেও দুই দিনে বিক্রি হয়েছে এক মেট্রিকটন ৩৪ কেজী (১০৩৪ কেজী) মেট্রিকটন।
ডিলারদের দাবী, আতপ চাউওেল আগ্রহ নেই ক্রেতাদের। তাউ চাউল নিতে এসে অনেকেই আতপ চাউল দেখে ফিরে যাচ্ছেন।
চাল কিনতে এসে দেখি আতপ চাল। আতপ চালের ভাত খাওয়া যায় না। আজ আসছি যখন কিনে নিচ্ছি। আর আসব না। সরকার আমাদের সিদ্ধ চাল দিলে আমরা উপকৃত হব।
এদিকে ফরিদপুরের খুচরা বাজারে ৩০টাকা কেজীর স্বর্ণা (মোটা) চাউল বর্তমানে ৪৫টাকায়, পারিজা ৫০ টাকায় আর মিনিকেট ৬০ থেকে ৬৫টাকা কেজীতে বিক্রি হচ্ছে। যা মধ্যম শ্রেনীর মানুষের জন্যে দু:সাধ্যের হয়ে দাড়িয়েছে।
খোলা বাজার থেকে চাল কিনতে আসা সুমাইয়া আক্তার বলেন, চাল কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু চাল কিনতে পারলাম না। আতপ চাল দিয়ে ভাত হয়না। আতপ পিঠা খাওয়া যেতে পারে। ভাতের চাল কেনার টাকা নাই, পিঠার চাল দিয়ে কি করব। সরকার আমাদের সহযোগিতা করতে চাইলে ভাতের মোটা চাল দেক। মোটা চাল হলেই চলবে।
ডিলার মীর আব্দুল জলিল জানা, চাল কেই নিচ্ছেনা। প্রথম দিন দুইশ কেজি বিক্রি করেছি। দ্বিতীয় দিন একশ কেজি বিক্রয় করেছি। আজ এখন পর্যন্ত কোন চাল বিক্রয় করতে পারিনি। চাল কিনতে এসে ফিরে যাচ্ছে ক্রেতারা। আতপ চাল দেথে কেউ কিনছে না।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, জেলার সদর ব্যাতিত আটটি উপজেলায় বুধবার থেকে ওএমএস চাউল বিতরণ শুরু হয়েছে। আর সদর উপজেলায় পাঁচজন ডিলারের মাধ্যমে মঙ্গলবার থেকে বিতরণ শুরু হয়। সদরে দিনে পাচ টন করে দুই দিনে ১০ মেট্রিক টন (১০হাজার কেজী) চাউল সরবরাহের কথা থাকলেও দুই দিনে বিক্রি হয়েছে এক মেট্রিকটন ৩৪ কেজী (১০৩৪ কেজী) মেট্রিকটন।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া জানান, সাধারণ মানুষের ওএমএস সরবরাহকৃত আতপ চাউলে আগহ কম থাকার বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
চাউলের এই উচ্চমূল্যের সময়ে সাধারণ মানুষের সহায়তায় সরকার আতপ চাউলের পরিবর্তে সিদ্ধ চাউল ও আটা সরবরাহ নিশ্চিত করবে এমন প্রত্যাশা ভুক্তভোগীদের।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ