চলতি বছরের জুন থেকে ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিভিন্ন রাজ্যে বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসের কারণে ভারতে ৬২৪ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩২ শতাংশ কম।
এ তথ্য প্রকাশ করে ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে গুজরাটে। পশ্চিমাঞ্চলীয় এই রাজ্যটিতে ঝড়-বৃষ্টি-ঢল-ভূমিধসের কারণে জুনের শুরু থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত মোট ১০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশই ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’র শিকার। যে ঘূর্ণিঝড়টি গত ১৫ জুন গুজরাটের উপকূলে আছড়ে পড়েছিল।
মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হিমাচল প্রদেশ, যেখানে সর্বোচ্চ ২২৩ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এমনকি সোলান এবং উনার মতো কিছু জায়গায় ৫০ বছরে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। এসময় রাজ্য জুড়ে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ আটকা পড়ে।
এই বর্ষা মৌসুমে এখনও পর্যন্ত, হিমাচল প্রদেশে ৯৯ জন মারা গেছে যা আগের বছরের ১৮৭ জনের তুলনায় কম। তবে এই বছর অবকাঠামোগত এবং সম্পত্তির বেশি ক্ষতি হয়েছে বলছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এছাড়া মহারাষ্ট্রে ৯২ জন, মধ্যপ্রদেশে ৯২ জন, কর্ণাটকে ৮৭ জন, আসামে ৩৮ জন, রাজস্থানে ৩৬ জন, হরিয়ানায় ১৯ জন এবং পাঞ্জাব, মেঘালয় ও মণিপুরেও বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চলতি বছর মৌসুমি বৃষ্টিতে প্রায় দুই লাখ হেক্টর কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যা ২০২২ সালের ২.৪৮ লাখ হেক্টরের তুলনায় কম।
এই বছর কম মৃত্যুর কারণ হিসেবে মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রে খুব বেশি বৃষ্টিপাত না হওয়া বলছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সাল থেকেই অতিবৃষ্টি বা অতিগরমসহ চরম আবহাওয়া বিরাজ করছে দেশটিতে। ভারতীয় আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুসারে ২০১৩ এর পর থেকে একটি বছরও নেই যে বছর বড় ধরনের বৃষ্টিপাতের ঘটনা দেখা যায়নি।