জঙ্গি অর্থায়নের মূলহোতা আতাউল হক সবুজকে স্পেনের আইনশৃংখলা বাহিনী গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছেন র্যাব মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, জঙ্গি অর্থায়নের মূলহোতা আতাউল হক সবুজকে স্পেনের আইনশৃংখলা বাহিনী গ্রেফতার করেছে। সবুজ স্পেনে আইসিল্কটেল থেকে বাংলাদেশে ওহমি নামে একটি সফটওয়্যার কোম্পনির মাধ্যমে জঙ্গি অর্থায়ন করত। সবুজের স্ত্রীও স্পেনে বসবাস করেন। তার বিরুদ্ধেও সেই দেশের আইনশৃংখলা বাহিনী আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে।
তিনি বলেন, আইসিল্কটেলের আগে বাংলাদেশে ২০০৫ আইব্যাক নামের একটি সফটওয়্যার কোম্পানির প্রতিষ্ঠিত হয়। যা ২০১৫ সালে বন্ধ হয়ে যায়। পরে জঙ্গি সবুজ স্পেনে গিয়ে আইসিল্কটেল চালু করে।
সবুজ স্পেন থেকে আইসিল্কটেলের মাধ্যমে বাংলাদেশে ওহমি নামে একটি সফটওয়্যার কোম্পানির জঙ্গি অর্থায়ন করত। এই অর্থায়নের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, আইব্যাক নামের একটি সফটওয়ার কোম্পানি বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্যসহ পৃথিবীর নয়টি দেশে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করত। ওই প্রতিষ্ঠানটি জেএমবির সারোয়ার-তামীম গ্রুপের বাশারুজ্জামান চকলেটের মাধ্যমে তামীম চৌধুরীকে ৫০ হাজার ইউএস ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি টাকা দিতে চেয়েছিল। তখন বিষয়টি আইনশৃংখলা রক্ষকারী বাহিনীর সদস্যরা জেনে ফেলে। এজন্য বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যে আইব্যাকের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। এছাড়া বাংলাদেশে এ পর্যন্ত বিভিন্ন অভিযানে ৬৮ লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ২০১৫ সালে সাতজনকে আসামি করে একটি মামলাও হয়েছিল। ওই মামলায় বর্তমানে চারজন আসামি জামিনে বাইরে রয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজন গতকাল রাতের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
এর আগে ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহীতে অভিযান চালিয়ে জঙ্গিবাদে অর্থায়নে জড়িত থাকার অভিযোগে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আল মামুন, আল আমিন, ফয়সাল ওরফে তুহিন, মঈন খান, আমজাদ হোসেন, নাহিদ, তাজুল ইসলাম ওরফে শাকিল, জাহেদুল্লাহ, আল আমিন, টনি নাথ এবং হেলাল উদ্দিন। তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ও নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।