হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষার জের ধরে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন শুরু করেছে দেশটির পরীক্ষিত মিত্র চীন।
জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী উত্তর কোরিয়া থেকে আর বস্ত্র আমদানি করবে না চীন। এছাড়া দেশটিতে জ্বালানি তেল ও তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহও সীমিত করা হবে।
শনিবার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, আগামী ১ অক্টোবর থেকে উত্তর কোরিয়ায় জ্বালানি তেল সরবরাহ কমানো হবে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে এলএনজি সরবরাহও কমানো হবে।
এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গত দুই মাসে উত্তর কোরিয়ায় পেট্রলের দাম বেড়েছে ২০ শতাংশ।
পেট্রল পাম্পের এক কর্মী বিবিসিকে বলেন, ‘শুক্রবার দাম ছিল ১ দশমিক ৯০ ডলার। আজ সেটি ২ ডলারে দাঁড়িয়েছে। আমার আশংকা দাম আরও বাড়বে।’
এ বছরের শুরুতে উত্তর কোরিয়া থেকে কয়লা আমদানি সীমিত করেছে চীন।
বর্তমানে এই দুই দেশের মধ্যে কী পরিমাণ বাণিজ্য সংগঠিত হয়, তা পরিষ্কার নয়। তবে বস্ত্র খাত হচ্ছে পিয়ংইয়ংয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানি খাত। চীনের বস্ত্র না কেনার সিদ্ধান্তে বছরে প্রায় ৭০ কোটি ডলারের আয় হারাবে উত্তর কোরিয়া।
আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ায় উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে এই অবস্থান নিয়েছে বলে জানিয়েছে চীন।
এদিকে আন্তর্জাতিক মহলে চাপের মুখে থাকা উত্তর কোরিয়া শনিবার সপ্তমবারের মতো পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে বলে সন্দেহ করছে চীন।
চীনের ভূতাত্ত্বিক সংস্থা সিইএনসি জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ায় ৩ দশমিক ৪ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়েছে।