ক্ষমতা গ্রহণের তিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো অভিশংসনের মুখে পড়তে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হাউজ স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় এমন ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন যে, জো বাইডেনের অভিশংসন তদন্ত প্রস্তুত করা হচ্ছে।
ফক্স নিউজকে ম্যাকার্থি বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে বাইডেনের ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তুলে ধরেন। তিনি বলেন যে, এটি একটি অভিশংসন তদন্তের স্তরে উঠছে।
মার্কিন স্পিকার বলেন, রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা না নিলে আমরা এর কিছুই জানতাম না। তথ্য আমাদের যেখানে নিয়ে গেছে আমরা কেবল অনুসরণ করেছি। এটি অভিশংসন তদন্তের স্তরে উন্নীত হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট এমন কিছু ব্যবহার করেছেন যা আমরা রিচার্ড নিক্সনের পর থেকে দেখিনি। তার পরিবারের উপকার করার জন্য সরকারি সুবিধা ব্যবহার করেছেন এবং কংগ্রেসের তত্ত্বাবধানের ক্ষমতা অস্বীকার করেছেন।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন জো বাইডেন। এর আগে তিনি বারাক ওবামা প্রশাসনে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইউক্রেনের প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি বুরিসমার একজন নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে।
২০২০ সালের জুন মাসে এফবিআইকে গোপন সূত্রের মাধ্যমে ঘুষ সংক্রান্ত তথ্যটি জানানো হয়। এই কেলেঙ্কারিটি যখন ঘটে, জো বাইডেন তখন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। বাইডেনের বড় ছেলে হান্টার বাইডেন ২০১৪-২০১৯ সাল পর্যন্ত ওই কোম্পানিটির বোর্ডের দায়িত্বে ছিলেন।
বাইডেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার ছেলে হান্টার বুরিসমার বোর্ডে যোগদানের পর তিনি ইউক্রেনের একটি প্রাকৃতিক গ্যাস শিল্পকে সমর্থন করেছিলেন। এ ছাড়া বুরিসমার ঘটনা তদন্তে নিয়োজিত আইনজীবীকে বরখাস্ত করতে ইউক্রেনকে চাপ দিতে ইউএস এইডকে ব্যবহার করেছিলেন হান্টার বাইডেন। কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলেও বুরিসমার বোর্ডে নিয়োগ পেয়ে হান্টার বাইডেন বছরে ১ মিলিয়ন ডলার বেতন পেতেন।
নিজের বইতে বুরিসমার কাছ থেকে অর্থ নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে হান্টার লিখেছেন, ‘আমি কাজটি নিয়েছিলাম কারণ সেখানে খুব বেশি কিছু করার ছিল না। তারা আমার ভাইয়ের দেখাশোনার জন্য বিপুল অঙ্কের অর্থ এবং সময় আমাকে দিয়েছিল।’
তবে ঘুষের বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন জো বাইডেন।