• শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৮ অপরাহ্ন

কলকাতায় ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

বর্ষা শুরুর আগে থেকেই সব পৌরসভাকে সতর্ক করেছিল পশ্চিমবঙ্গের সচিবালয় নবান্ন। কোথাও পানি জমে আছে কি না তা জানার জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। নগরবাসীকে সতর্ক করতে মাইকিংয়ে প্রচারণাও চলছে।

পশ্চিমবঙ্গে এখনো বর্ষা শুরু হয়নি। এর মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের খবর আসতে শুরু করেছে। কলকাতায় প্রথম ডেঙ্গুতে প্রাণ হারায় কলকাতার পিকনিক গার্ডেন্সের বাসিন্দা ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। ১০ বছরের ওই শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

এদিকে কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃতুর খবর সামনে এসেছে। নদীয়া জেলার রানাঘাটের বাসিন্দা উমা সরকার (৬০) নামের এক বৃদ্ধা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

বেলেঘাটা আইডি সূত্রের খবর, প্রথমে তাকে রানাঘাট স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কল্যাণী জহরলাল নেহরু হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তারপরও তার শরীরের অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার কলকাতার আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে সময় তার প্রচণ্ড জ্বর ছিল।

বয়স বেশি হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে সিসিইউ-তে রাখেন। কিন্তু তিনি আর চিকিৎসায় সাড়া দিতে পারেননি।সেখানেই তার মৃত্যু হয়। জানা গেছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার কারণেই প্রাণ হারিয়েছেন উমা সরকার।

অপরদিকে, ডেঙ্গুতে আক্রান্তের চিকিৎসায় প্লাটিলেটের চাহিদা বজায় রাখার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তর গাইডলাইন জারি করেছে।

রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের গাইডলাইন অনুযায়ী, শরীরে প্লাটিলেট কাউন্ট যদি ১০ হাজারের নিচে নেমে আসে তাহলে প্লাটিলেট দিতে হয়। ডেঙ্গু আক্রান্তের যদি প্লাটিলেটের প্রয়োজন হয় তবে তা কোন গ্রুপের প্লাটিলেট প্রেসক্রিপশনে উল্লেখ করতে হবে।

রাজ্যের ২৭টি জেলায় স্বাস্থ্য দপ্তরে প্লাটিলেটের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়াও ৫৭টি সরকারি ব্লাড ব্যাংক থেকে প্লাটিলেট সরবরাহের ব্যবস্থা রাখছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর।

কেন্দ্রীয় পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য দপ্তরের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, গত বছর পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় ৬৭ হাজার ২৭১ জন। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ছিল ৩০ জন। কিন্তু বেসরকারি তথ্য বলছে, এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি। গত বছরের মতো পরিস্থিতি আসার আগেই পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দপ্তর সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা সত্বেও বর্ষা আসার আগেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলো দুজনের।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ