মার্কিন সরকারের কাছে গ্রিন কার্ডের জন্য ভারতীয়দের যে পরিমাণ আবেদন জমা পড়েছে, তা নিস্পত্তি করতে সময় লেগে যাবে প্রায় ১৯৫ বছর! আর এ সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অনুরোধ জানিয়েছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কংগ্রেসম্যান রাজা কৃষ্ণমূর্তি ও তার সহযোগীরা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ডের নিরাপত্তা সচিব আলহান্ড্রো মায়রকাসের কাছে চিঠি দিয়ে আবেদন জানিয়েছেন। তাদের অনুরোধ, চাকরিসূত্রে যেসব ভারতীয় মার্কিন ভিসা পেয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে যেন দ্রুত গ্রিন কার্ড দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয়। প্রয়োজনে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে তার বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগেরও অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
এনডিটিভিসহ ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য বিপুল পরিমাণ ভারতীয় আবেদন করেছেন। যে পরিমাণ আবেদনপত্র জমা পড়েছে, তা বিবেচনা করে দেখতে প্রায় ২০০ বছর সময় লেগে যাবে। এ আশঙ্কা থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে বিষয়টি সমাধানের আবেদন জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে চাকরিসূত্রে প্রচুর ভারতীয়র বাস। দীর্ঘদিন ধরে তারা অপেক্ষা করছেন নাগরিকত্ব লাভের জন্য। তাদের সমস্যার সমাধান করতেই উদ্যোগী হয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা।
এ বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজা কৃষ্ণমূর্তি বলেছেন, সবাই মিলে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে অনুরোধ জানিয়ে গর্ববোধ করছি। তিনি যদি এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন, তাহলে খুব সহজেই সমস্যার সমাধান হতে পারে। লালফিতের জটে অভিবাসন প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছে। অর্থাৎ, দাপ্তরিক কার্যক্রমের দীর্ঘসূত্রতা, নিয়মকানুনের কড়াকড়ি ও অহেতুক বিলম্বের কারণে সমস্যায় পড়তে হয়েছে অনেক পরিবারকে।
২০২০ সালের ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্রেশন রিপোর্ট অনুযায়ী, এক কোটি ৮০ লাখ ভারতীয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাস করছেন। আর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ভারতীয়দের সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভারতীয় আছেন ৩৫ লাখ, সৌদি আরবে ২৫ লাখ। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, কুয়েত, ওমান, পাকিস্তান, কাতার ও যুক্তরাজ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভারতীয় বসবাস করছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০০ সাল থেকে ২০২০ সালের বিশ্বের বহু দেশে ভারতীয়দের সংখ্যা অনেক হারে বেড়েছে। এই সময়ে বিশ্বে ভারতীয় প্রবাসীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি বেড়েছে। ২০০০ সালে প্রবাসীর দিক থেকে ভারতের অবস্থান ছিল তৃতীয়। কিন্তু ২০২০ সালে দেশটি শীর্ষে অবস্থান করছে।