কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি॥
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মোটা অংকের টাকা পেয়ে ওয়ারেন্টের তিন আসামীকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মাঝুখান গ্রামে গত সোমবার বিকেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলার মাঝুখান গ্রামের মোসলেম উদ্দিন মেম্বার, ইউনুছ আলী ও আব্দুল হালিম নামের তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে জমির জাল দলিল বিষয়ক একটি আদালতের মামলার ওয়ারেন্ট ইস্যূ হয়। ওই ওয়ারেন্টে নিয়ে কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুক্তি মাহমুদ নামে এক পুলিশ কর্মকর্তা সোমবার বিকেলে মাঝুখান বাজারে যান। সেখান থেকে আসামী মোসলেম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেন তিনি। পরে মামলার আরো দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান চালানোর প্রস্তুুুতি নেয় ওই পুলিশ কর্মকর্তা। এসময় ছাত্র লীগের কর্মী সোহাগ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন অপর দুই আসামী ইউনুছ আলী ও আব্দুল হালিমকে ডেকে পাঠায়। বিষয়টি নিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা ও আসামী পক্ষের লোকজনের মধ্যে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মধ্যস্ততা করিয়ে দেয় তারা দুজনে। পরে পুলিশের ওই এসআই তার চাহিদা অনুযায়ী মোটা অংকের লাখ টাকা পেয়ে ওয়ারেন্টের ওই তিন আসামীকে ছেড়ে দিয়ে চলে আসে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক গ্রামবাসী জানান, এক লাখ টাকার বিনিময়ে ওয়ারেন্টের তিন আসামীকে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে এসআই মুক্তি মাহমুদ। আইন এরূপ ব্যবহার হতে থাকলে দেশ চলবে কিভাবে?
এব্যাপারে জানতে ওই ছাত্রলীগ কর্মী সোহাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন জানান, আমি তদবির করে মোসলেম উদ্দিনকে রেখে দেই।
অভিযুক্ত কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুক্তি মাহমুদ জানান, মোসলেম উদ্দিন নামের এক ওয়ারেন্টের আসামীকে আটক করা হয়। কিন্তু তিনি প্যারালাইসিস রোগি থাকার কারণে সেকেন্ড সঙ্গে কথা বলে ও এলাকার মরুব্বিদের অনুরোধে তাকে রেখে আসতে হয়েছে। অন্য দুই আসামীদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে টাকা নেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা বলে তিনি জানান।
কালিয়াকৈর থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জাফর আলী জানান, সোমবার ঢাকায় ছিলাম। তাই বিষয়টি আমার জানা নেই। তাছাড়া এ বিষয়ে ওই কর্মকর্তা আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি।