সম্প্রতি ভারত সীমান্তে বিএসএফের পরিধি বাড়ার পর তাদের বাড়বাড়ন্তও বেড়েছে। কুকুর-ছাগলের মতো গুলি করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকা ভগবানগোলার বিধায়ক, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ইদ্রিস আলী।
বিধানসভায় ডেপুটি স্পিকার শ্রী আশিষ ব্যানার্জির দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইদ্রিস আলী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ও বিএসএফের মদদে সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক পরিমাণে গরুপাচার চলছে। বিএসএফ ও কেন্দ্রীয় সরকারের মদদ ছাড়া গরুপাচার সম্ভব নয়। সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের অত্যাচার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় মুখ খোলার পর কিছুদিন মানুষের ওপর অত্যাচার কমেছিল। সম্প্রতি সীমান্তে বিএসএফের পরিধি বাড়ার পর তাদের বাড়বাড়ন্তও বেড়েছে। মানুষের ওপর ব্যাপকভাবে অত্যাচার বেড়েছে। কুকুর ছাগলের মতো গুলি করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকার জিরো পয়েন্টে অনেক ভারতীয় নাগরিকের জমি আছে। সীমান্ত এলাকার কৃষকদের সেই জমিতে চাষাবাদ করতে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় নাগরিক হয়ে তারা নিজের জমিতে চাষ করতে পারছেন না। এ বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, সীমান্ত এলাকার এই সমস্যা নিয়ে বিরোধী বিজেপি বিধায়করা কেন মুখ খুলছেন না। কেন্দ্রীয় সরকার ও বিএসএফের সঙ্গে বিজেপি বিধায়করাও এই গরু পাচারের মদদদাতা। তারা চুরি করবে, ডাকাতি করবে, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলবে, এমনটা চলতে পারে না। এমনটা চালানোর চেষ্টা করা হলে ২০২৪ সালে বিজেপির দুর্গতির শেষ থাকবে না, মোদিজির সরকার গদি হারাবে।