• শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন

মিয়ানমারে বন্যা-ভূমিধসে ৫ জনের মৃত্যু, ৪০ হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ১২ আগস্ট, ২০২৩
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের মরাউক-ইউ শহরের মায়াটাসাং আইডিপি ক্যাম্প।

বন্যা ও ভূমিধসে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৌসুমী বৃষ্টির পর দেশটিতে এই বন্যা ও ভূমিধস দেখা দেয় এবং এর জেরেই প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। এছাড়া আরও ৪০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

এএফপির বরাতে শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

এএফপি বলছে, মিয়ানমারে প্রতি বছর এই সময়ে ভারী বৃষ্টিপাতের শিকার হয়ে থাকে। কিন্তু সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সারা বিশ্বই চরম আবহাওয়ার সম্মুখীন হয়েছে এবং বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই ধরনের ঘটনাগুলো আরও খারাপভাবে দেখা দিয়েছে।

ভারী বৃষ্টির পর ইয়াঙ্গুনের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত বাগোতে কিছু বাসিন্দাকে তাড়াতাড়ি সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হলেও দ্রুত ক্রমবর্ধমান পানির মধ্যে আটকা পড়েন বহু মানুষ।

বাগোর বাসিন্দা ২৩ বছর বয়সী সোয়ে মিন অং এএফপিকে বলেছেন, ‘বাগোতে প্রতি বছর বন্যা হয় তবে এবারের বন্যা সবচেয়ে খারাপ।’

তিনি বলেন, ‘কিছু পরিবার একটি মঠে চলে গেলেও অন্যরা এখানে থেকে গিয়েছিল। কারণ তারা ভাবেনি যে, পানি খুব বেশি হতে পারে। এমনকি কিছু এলাকায় পানির স্তর আমার উচ্চতার দুই গুণ বেশি।’

৬৬ বছর বয়সী মিন থাও বলেন, তার দোতলা বাড়ির নিচতলা পানিতে তলিয়ে গেছে এবং তার পরিবার এখন উপরের তলায় থাকছে। তিনি বলেন, আমি মনে করি বাগোতে সাত-আট বছরের মধ্যে এটিই প্রথম প্রবল বন্যার ঘটনা।

মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের পরিচালক লে শোয়ে জিন ও বলেছেন, বন্যা ও ভূমিধসে পাঁচজন নিহত হয়েছেন এবং শুক্রবার সারা দেশে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া মানুষের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয়-বিষয়ক কার্যালয়ের অনুমান, ভারী মৌসুমি বৃষ্টিপাত এবং নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় চলতি আগস্ট মাসের শুরু থেকে মিয়ানমারে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাগো, বিলিন এবং সালউইন নদীর পানির স্তর এখন হ্রাস পাচ্ছে জানিয়ে সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মোন এবং কায়িন (প্রদেশে) মৌসুমি ধানের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’

এর আগে গত জুলাই মাসের শেষের দিকে মিয়ানমারে বন্যা শুরু হয় এবং ওই বন্যায় রাখাইন, কাচিন, কারেন, সোম এবং চিনসহ দেশের নয়টি প্রদেশ ও অঞ্চলকে ক্ষতির মুখে ফেলে। এছাড়া কারেন প্রদেশে ভূমিধসের কারণে থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী শহরের সঙ্গে যুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ একটি মহাসড়ক বন্ধ হয়ে গেছে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ