• শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৩ পূর্বাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য নিম্নগামী, আরব তরুণদের ভরসা হয়ে ওঠছে তুরস্ক ও চীন

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ১২ আগস্ট, ২০২৩
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান ও সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান - ফাইল ছবি

আরব তরুণদের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি এখন তুরস্ক ও চীনকে মধ্যপ্রাচ্যের ‘শক্তিশালী’ মিত্র হিসেবে দেখছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের প্রতি তাদের সমর্থন কমে গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক আরব ইয়ুথ সার্ভের এক জরিপে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

সমীক্ষায় দেখা যায়, ১৮-২৪ বছর বয়স্ক আরব তরুণদের ৮২ ভাগের বেশি তুরস্ককে ‘শক্তিশালী মিত্র বা অন্যতম মিত্র’ মনে করে। আর ৮০ ভাগ চীনকে একই ধরনের মিত্র মনে করে।

সমর্থন পাওয়ার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র নেমে গেছে ৭২ ভাগে। তারা আছে সপ্তম স্থানে। জার্মানি ৭৮ ভাগ, ফ্রান্স ৭৪ ভাগ ও ভারত ৭৩ ভাগ সমর্থন পেয়েছে।

আরব দুনিয়ার মিত্র হিসেবে ভিন্ন একটি শ্রেণীতে আরব তরুণদের চোখে কাতার শীর্ষ মিত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তারা ৯০ ভাগের সমর্থন পেয়েছে। এরপর আছে মিসর (৮৯ ভাগ), সংযুক্ত আরব আমিরাত (৮৮ ভাগ), সৌদি আরব (৮৬ ভাগ)।

জরিপে আরব দুনিয়ার ৫৩টি নগরীতে ৩,৬০০ তরুণের মুখোমুখি সাক্ষাতকার নেয়া হয়।

জরিপে কাতারের ২০২২ বিশ্বকাপ ফুটবল আসরকে ইতিবাচকভাবে দেখা যায়। তরুণরা জানায়, এই আসরটি আরবদের গর্ব বাড়িয়ে তুলেছে।

জনপ্রিয়তার দিক থেকে তুরস্ক ও চীনের উত্থান ঘটলেও আরব তরুণদের দৃষ্টিতে তাদের অঞ্চলে এখনো সবচেয়ে ক্ষমতাধারী দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র।

জবাবদাতাদের এক তৃতীয়াংশ জানায়, যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী দেশ। এরপর রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (১১ শতাংশ) এবং সৌদি আরব ও ইসরাইল (উভয়ে ১০ ভাগ করে)।

জরিপে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট ২০২০ সালের আব্রাহাম চুক্তির রেশ ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো ও সুদান যদিও ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছে, তবুো ৮৭ ভাগ আরব তরুণ ইহুদি রাষ্ট্রটির সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার বিরোধী।

সূত্র : মিডল ইস্ট আই


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ