• সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন

সড়কে কাদাপানিতে দুর্ভোগ

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সড়কগুলোর বেহাল দশা।

পিচ ঢালাই উঠে ইট, খোয়া বেরিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে সড়কগুলো।

কাদাপানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। বিগত দুই বছরে ওয়ার্ডে বিপুল পরিমাণ অর্থ সড়ক সংস্কার কাজে খরচ করা হলেও আশানুরূপ অগ্রগতি নেই। এছাড়াও সড়কের যত্রতত্র আবর্জনার কনটেইনার রাখায় চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

আর সড়ক, ফুটপাত ও ড্রেনেজগুলোর অব্যবস্থায় চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। তবে কাউন্সিলর বলছেন ভিন্ন কথা।

তিনি জানান, সোয়ারীঘাট থেকে চকবাজারের রাস্তার স্যুয়ারেজ লাইন ও টেকসই ড্রেনেজের কাজ চলমান রয়েছে। আরও অনেক উন্নয়মূলক কাজ করেছি।

ওয়ার্ড পরিচিতি : পুরান ঢাকার দেবিদাস ঘাট লেন, বড় কাটারা লেন, সোয়ারীঘাট রোড, হেকিম হাবিবুর রহমান রোড, ছোট কাটরা রোড, বিরেন বোস লেন, রুই হাট্টা লেন, মহিউদ্দিন লেন, ইমামগঞ্জ রোড, রায় ঈশ্বর চন্দ্র শীল বাহাদুর স্ট্রিট, নলগলা রোড, যাদব নারায়ন দাস লেন, জুম্মন বেপারি লেন, রজনী বোস লেন, কমিটিগঞ্জ লেন, মিটফোর্ড রোড, চকবাজার মোঘল টুলি রোড, কামাল বাগ এবং পান ঘাট এলাকা নিয়ে ডিএসসিসি ৩০ নম্বর ওয়ার্ড।

এ ওয়ার্ডের জনসংখ্যা এক লাখ ২০ হাজার। আর ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ৮৮১ জন।

হোল্ডিং সংখ্যা ১ হাজার ৩০২টি। ওয়ার্ডটিতে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বেশি হওয়ায় এখানকার জনসংখ্যার বেশির ভাগ বাইরের এলাকার।

সরেজমিন দেখা গেছে, ডিএসসিসির ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের মূল সড়ক সোয়ারীঘাট থেকে চকবাজারের বেহাল দশা হয়েছে। আর রাস্তার মাঝখানে ফেলে রাখা হয়েছে স্যুয়ারেজের পাইপ। খানাখন্দে ভরা সড়কগুলো চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

পুরান ঢাকার প্রাচীন এ এলাকায় নেই কোনো পার্ক, শরীর চর্চা কেন্দ্র। আর পানি সরবরাহ ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় ওয়ার্ডে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট বিরাজ করছে। কমিউনিটি সেন্টার না থাকায় সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।

সোয়ারীঘাটের বাসিন্দা সেলিনা আক্তার জানান, ওয়ার্ডের বাকি রাস্তাগুলো ভালোভাবে কাজ হলে ও সোয়ারী ঘাট থেকে চকবাজার পর্যন্ত রাস্তার খুব খারাপ অবস্থা। এ এলাকার একজন ভোটার হয়ে আমাদের কিছু দাবি তো রয়েছে। ওয়ার্ডে শরীর চর্চার জন্য নেই কোনো জায়গা। এতে আমার মত ডায়াবেটিকস রোগীদের অনেক কষ্ট হয়। এ ধরনের নাগরিক সুবিধা যে কবে পাব তা জানা নেই।

ওয়ার্ডের সার্বিক বিষয়ে দেবীদাসঘাট বড়কাটারা সোয়ারীঘাট চম্পাতলি সমাজ কল্যাণ সংসদের সভাপতি হাজী মো. সেলিম বাবু জানান, আমাদের ওয়ার্ডে পার্ক, কমিউনিটি সেন্টার, শরীর চর্চা কেন্দ্র নেই। আমরা ডিএসসিসির কাছে নাগরিক সেবার এ অনুষঙ্গগুলো আমাদের এলাকায় চালু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

কাউন্সিলর যা বললেন

ডিএসসিসির ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী মো. হাসান (পিল্লু) যুগান্তরকে বলেন, ওয়ার্ডের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বিগত দুই বছরে ওয়ার্ডের ১২টি সড়কের সংস্কার কাজ করা হয়েছে। অন্যান্য নাগরিক সেবার মান উন্নয়নেও কাজ করেছি। তবে সব সমস্যার সমাধান হয়েছে, সেটা দাবি করছি না। এখনও মাদক, পানি সংকট ও আবর্জনা ব্যবস্থাপনাসহ কিছু সমস্যা রয়েছে। সেগুলোর সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ