• রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন

রোহিঙ্গা নারীদের ‘বীভৎস’ নির্যাতন, জাতিসংঘের উদ্বেগ

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার প্রধান বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা নারীরা বীভৎস যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় তিনি‘ব্যথিত ও উদ্বিগ্ন’।

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীরা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নারী ও কিশোরীদের ধর্ষণের অভিযোগ করার মধ্যেই বুধবার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক উইলিয়াম ল্যাসি সুইং এ মন্তব্য করেন।

এদিকে মিয়ানমার সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করলেও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের অভিযোগ তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে যাওয়া অনুমতি দিচ্ছে না।

গত ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে চার লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মানবিক সহায়তার কাজ সমন্বয় করছে আইওএম।

বুধবার সংস্থাটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইওএমের চিকিৎসকরা কয়েক ডজন নারীকে চিকিৎসা করেছেন,  যারা গত আগস্ট থেকে নির্মম যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তবে তারা বলছেন, যে বিশালসংখ্যক মানুষ এ ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছে, চিকিৎসা পাওয়া এসব নারী তার ক্ষুদ্র একটি অংশ মাত্র।

সংস্থাটির প্রধান সুইং বলেন, যে ভয়ঙ্কর সহিংসতা এবং নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে পরিস্থিতি এর চেয়ে ভালো হওয়ার পরেও তার খবর আসছে।

তিনি বলেন, নারী ও কিশোরীরা, বিশেষ করে পুরুষ ও কিশোররাও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাদের ওপর বেশি সহিংসতা ও নিপীড়ন হয়ে মূলত তাদের লিঙ্গ, বয়স ও সামাজিক অবস্থানের কারণে।

সুইং বলেন, এ ধরনের নির্যাতন থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষকে  সাহায্য করছে আইওএম। কিন্তু কতটা ভয়াবহ হারে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা হয়েছে তা কিছুসংখ্যক ঘটনা জানার মাধ্যমে পুরোপুরি বোঝা সম্ভব কিনা, আমি যথেষ্ট জোর দিয়ে বলতে পারছি না।

ধারণা করা হচ্ছে, গত এক মাসে এক লাখ ৬০ হাজার নারী ও কিশোরী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

এর মধ্যে দুই বোন আলজাজিরাকে বলেছেন, মিয়ানমারের সেনারা তাদের ধর্ষণ করেছে।

২৫ বছর বয়সী মিনারা নামে এক বোন বলেন, সেনারা আমাদের নির্যাতন করেছে। তারা আমাদের বাবা-মাকে হত্যা করেছে। তারা আমাদের ধরে জঙ্গলে নিয়ে যায় এবং মাটিতে চেপে ধরে।

আরেক বোন ২২ বছরের আজিজা বলেন, দুই ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করে এবং তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

দুই বোনকে উদ্ধার করে নদী পার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে সাহায্য করে অন্য শরণার্থীরা।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ