ইরান ও সৌদি আরবের সামরিক কর্মকর্তারা দু’দেশের মধ্যে সামরিক অ্যাটাশে বিনিময় করতে সম্মত হয়েছেন।
চীনের মধ্যস্থতায় এক চুক্তির ভিত্তিতে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন ও দূতাবাস চালু হওয়ার পর সামরিক অ্যাটাশে বিনিময় করতে সম্মত হল দুই দেশ।
বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদে এবং সৌদি সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী তালাল বিন আব্দুল্লাহ আল-ওতাইবির মধ্যে এ বৈঠক হয়েছে।
বুধবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর অদূরে কুবিঙ্কা শহরে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক ১১তম মস্কো সম্মেলনের অবকাশে সৌদি ও ইরানি সামরিক কর্মকর্তারা বৈঠক করেন।
ইরনা জানিয়েছে, বৈঠকে রিয়াদ ও তেহরান দু’দেশের মধ্যে ‘যথাশীঘ্র সম্ভব’ সামরিক অ্যাটাশে বিনিময় করতে সম্মত হন।
সামরিক সহযোগিতার রোডম্যাপ
বৈঠকে জেনারেল নাসিরজাদে ও আল-ওতাইবি চীনের মধ্যস্থতায় দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করার ওপর জোর দেন। তারা বলেন, দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি তেহরান ও রিয়াদের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ ও মুসলিম বিশ্বের স্বার্থ রক্ষা করবে। চুক্তি বাস্তবায়নে ইরান ও সৌদি আরবের সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলেও দুই সামরিক কর্মকর্তা ঐক্যমত পোষণ করেন।
প্রখ্যাত সৌদি শিয়া আলেম শেখ নিমর বাকির আল-নিমরের ফাঁসি কার্যকর করার প্রতিবাদে ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে তেহরানে ব্যাপক সৌদি বিরোধী বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভকারীদের একটি দল তেহরানের সৌদি দূতাবাসে আগুন ধরিয়ে দিলে রিয়াদ তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।
এরপর দীর্ঘ বিরতির পর গত মার্চ মাসে চীনের মধ্যস্থতায় নিজেদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সম্মত হয় ইরান ও সৌদি আরব। বেইজিং-এ এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের পর দু’দেশ এক যৌথ বিবৃতিতে পরস্পরের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে ও একে অপরের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। সূত্র: প্রেসটিভি