• রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন

‘সুচিই পারে রোহিঙ্গাদের সব নির্যাতন বন্ধ করতে’

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

যুক্তরাজ্যের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড বলেছেন, মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচিই পারেন সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের দুর্দশা লাঘব করতে। এর জন্য যা কিছু করণীয় তা তাকেই করতে হবে।

মিয়ানমার সফরকালে সুচির প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।

মার্ক মিয়ানমানের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা সুচিকে বলেন, জাতিসংঘ রাখাইনে নির্যাতন বন্ধ এবং সেখানে ত্রাণ সহায়তার জন্য প্রবেশের অনুমতি দিতে যে আহ্বান জানিয়েছে, তাতে দেশটির সব কর্তৃপক্ষকে সাড়া দিতে হবে।

রোহিঙ্গা ট্র্যাজেডির কারণে মিয়ানমারের অগ্রগতি ভেস্তে যেতে বসেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী পুলিশের সঙ্গে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ হয়। এর পর থেকে রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। তারা রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে গুলি করছে,নারীদের ধর্ষণ করছে ও দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করছে।

এর পর গত পাঁচ সপ্তাহে তিন হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা নিহত এবং চার লাখ ৮০ হাজার জন পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

আশ্রয়প্রার্থী এসব মানুষের মধ্যে ৬০ শতাংশই শিশু বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল-ইউনিসেফ।

ওই অভিযান শুরুর এশিয়া অঞ্চলের বাইরে প্রথম কোনো বিদেশি মন্ত্রী হিসেবে মার্ক ফিল্ড মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদাওতে অং সান সুচির সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন।

বৈঠক শেষে তিনি জানান, সুচিকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাজ্য সরকারের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি।

মার্ক ফিল্ড বলেন, রাখাইনে সর্বশেষ কয়েক সপ্তাহে আমরা যা ঘটতে দেখছি তা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য ট্র্যাজেডি মাত্র। তিনি বলেন, আমরা চাই সহিংসতা বন্ধ করে পালিয়ে যাওয়া সবাইকে অবিলম্বে নিরাপদে নিজ ঘরবাড়িতে ফিরিয়ে আনা হোক।

ব্রিটিশ মন্ত্রী বলেন, অং সান সুচি ও অন্যদের সঙ্গে বৈঠককালে আমি অত্যন্ত জোর দিয়ে বলেছি যে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সহিংসতা বন্ধ করতে যে আহ্বান জানিয়েছে বার্মাকে (মিয়ানমার) তাতে সাড়া দিতে হবে। আর যাদের ত্রাণ প্রয়োজন তাদের মানবিক সহায়তা দিতে সাহায্যকর্মীদের রাখাইনে প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে।

মার্ক ফিল্ড বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সফরে এসে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করবেন।

রাখাইনে কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে তা নিজ চোখে দেখেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বার্মায় ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। তবে রাখাইনের চলমান সহিংসতা এবং মানবিক সংকটের কারণে এই অগ্রগতির ব্যাহত হচ্ছে।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ