ইরাকি কুর্দিদের ৯২ দশমিক ৭৩ শতাংশই ইরাক থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনতা অর্জনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
সোমবার স্বাধীনতার প্রশ্নে অনুষ্ঠিত গণভোটে কুর্দিরা এ রায় দিয়েছেন। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ গণভোটের ফল ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার আধা স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তানের রাজধানী এরবিলে নির্বাচন কমিশন এক সংবাদ সম্মেলনে ভোটের ফল ঘোষণা করা হয়।
এতে বলা হয়,সোমবার ৭২ দশমিক ৬১ শতাংশ তথা ৩৩ লাখ পাঁচ হাজার ৯২৫ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এর মধ্যে ৯২ দশমিক ৭৩ শতাংশ ভোটার ‘হ্যাঁ’ ভোট দেন।
ইরাকের কেন্দ্রীয় সরকার এ ভোটকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া প্রতিবেশী তুরস্ক ও ইরানও তুর্কিস্তানের ভোটের বিরোধিতা করেছে।
এদিকে কুর্দি আঞ্চলিক সরকারের (কেআরজি) প্রধান মাসুদ বারজানি বলেছেন, এই ভোটের ফলে এখনই স্বাধীনতা ঘোষণা করা হবে না। বরং এর মধ্য দিয়ে দেনদরবারের দ্বার উন্মোচিত হবে।
এদিকে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি বুধবার বলেছেন, গণভোটের ফলের ভিত্তিতে আলোচনা করার কোনো সুযোগই নেই।
তিনি বলেন, গণভোটকে অবশ্যই বাতিল করতে হবে এবং সাংবিধানিক কাঠামোর অধীনেই আলোচনা হবে।
ইরাকের সংবিধানের অধীনে পুরো কুর্দিস্তানে ইরাকি আইন জারি করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পরবর্তী সময় বুধবার রাতে ইরাকের পার্লামেন্ট কিরকুকের তেলক্ষেত্রগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে সেনা মোতায়েন করতে বলে।
তবে প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি সম্ভাবনা নাকচ করে বলেন, আইন ও সংবিধানিক উপায়েই কুর্দিস্তানের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হবে।