ক্যাম্প ডেভিডে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে জোরদার করতে নতুন চুক্তি করতে যাচ্ছে। শুক্রবার এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। এই চুক্তি তিন মিত্রদের সম্পর্ক আরও গভীর করবে। চীনের উত্থান ও উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকির মুখে দেশগুলো নিজেদের সহযোগিতা আরও বাড়াতে চাইছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভ্যান বলেছেন, সম্মেলনে ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ ঘোষণা করা হবে। যার মধ্যে সংকটের সময়ে একে অপরের সঙ্গে পরামর্শ করার প্রতিশ্রুতি থাকবে।
সালিভ্যান বলেছিলেন, সম্ভাব্য পদক্ষেপগুলোর মধ্যে একটি বহু-বছরের সামরিক মহড়া পরিকল্পনা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষার গভীর সমন্বয় এবং তথ্য আদান-প্রদান, সংকটে যোগাযোগ এবং নীতি সমন্বয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। যা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি মোকাবিলার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তিনি আরও বলেছিলেন, নেতারা নতুন অর্থনৈতিক ও জ্বালানি নিরাপত্তা উদ্যোগও উন্মোচন করবেন। যার মধ্যে সাপ্লাই চেইন ব্যাঘাতের জন্য একটি আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা রয়েছে।
এসব প্রতিশ্রুতি একটি আনুষ্ঠানিক জোটের মধ্যে দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু দেশ তিনটি এমন কোনও জোটের ঘোষণা দিচ্ছে না। ক্যাম্প ডেভিডে বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রথম বৈঠকে ইন্দো-প্রশান্ত অঞ্চল গুরুত্ব পাচ্ছে। এতে যোগ দিচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।
সম্মেলনে একটি সংকটকালী হটলাইন প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি, উদীয়মান প্রযুক্তিতে একসঙ্গে কাজ করা এবং বার্ষিক বৈঠক করার অঙ্গীকারসহ একাধিক যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।