দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাশিয়া কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তিতে ফিরবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার কৃষি রপ্তানির বিষয়ে দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত মস্কো শস্যচুক্তি কার্যকর করবে না বলে জানান তিনি।
সোমবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা জানান রুশ প্রেসিডেন্ট। ইউক্রেনীয় শস্য নিরাপদে রপ্তানির বিষয়ে তার অবস্থান জানান পুতিন।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আল জাজিরা জানায়, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ায় খাদ্যশস্য সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ শস্যচুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার আশায় কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী রাশিয়ার সোচি শহরে সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। কিন্তু বৈঠকের নিজেদের দাবি পূরণের বিষয়ে দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়ে দেন পুতিন।
বৈঠকে পুতিন জানান, রাশিয়ার কৃষি রপ্তানির বিষয়ে মস্কোর দাবি পশ্চিমা দেশগুলো পূরণ করলেই কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনীয় শস্য নিরাপদে পাঠানোর চুক্তিতে ফিরবে তার দেশ।
গেলো বছর ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে কৃষ্ণসাগরের জাহাজ চলাচল পথ ও বন্দরগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয় মস্কো। এতে করে ইউক্রেনের উৎপাদিত শস্য বন্দরে আটকে যায়।
এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের বন্দরগুলো দিয়ে খাদ্যশস্য রপ্তানি স্বাভাবিক করতে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় গত বছরের ২২ জুলাই রাশিয়া–ইউক্রেনের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। যা কার্যকর হয় গত বছরের আগস্ট মাসের শুরু থেকে।
গত জুলাই মাসে কৃষি রপ্তানির ক্ষেত্রে রাশিয়ার শর্ত উপেক্ষা করা হয়েছে অভিযোগ তুলে শস্যচুক্তি থেকে বের হয়ে যায় রাশিয়া। দেশটির অভিযোগ, রাশিয়ার খাদ্য ও সার রপ্তানির প্রতিবন্ধকতা দূর করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা রক্ষা করা হয়নি।
তবে বৈঠক শেষে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট জানান আরেক কথা। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, তুরস্ক এবং জাতিসংঘ এই সমস্যা সমাধানের জন্য একটি নতুন প্যাকেজ প্রস্তাব নিয়ে একসাথে কাজ করছে। শিগগিরই একটি অগ্রগতি আসতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেন এরদোয়ান।