ইসরাইলের দু’শতাধিক ছাত্র নতুন অতি উগ্রপন্থী সরকারের অধীনে ‘ফ্যাসিবাদ’ ও স্বৈরতন্ত্র বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে সেনাবাহিনীতে ভর্তি হতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
তেলআবিবে ছাত্ররা এক বিক্ষোভ সমাবেশে জানায়, তারা ‘ইসরাইলি শাসনের আওতায় বসবাসকারী সবার জন্য গণতন্ত্র নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত’ তারা সামরিক বাহিনীতে ভর্তি হবে না।
এই দাবিতে সইকারীদের বেশির ভাগই হাই স্কুলের সিনিয়র ছাত্র। তারা ইসরাইল এবং অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ক্রমবর্ধমান ‘ফ্যাসিবাদ’ বৃদ্ধির বিরোধিতকারী ‘ইয়ুথ অ্যাগেইনস্ট ডিক্টেটরশিপ’-এর ব্যানারে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
ছাত্ররা জানায়, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা বর্তমানে সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা ফ্যাসিস্ট বসতি স্থাপনকারীদের সেবা করতে পারি না।’ তারা অভিযোগ করেন যে পশ্চিম তীরের দখলদারিত্ব ও বর্ণবাদ ছড়িয়ে দিতে ফ্যাসিবাদী বসতি স্থাপনকারীদের ছাড় দিচ্ছে।
ফিলিস্তিনিদের নৃশংসভাবে দমন করা এবং গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণের ব্যাপারে কিভাবে তাদের চোখ খুলে গেল, তার সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা তারা বর্ণনা করেন।
১৮ বছর বয়স্ক এক গ্রাজুয়েট বলেন, বিতর্কিত বিচার বিভাগীয় সংস্কার আইন তাদের চোখ খুলে দিয়েছে। তিনি বলেন, তারা দখলদার সামরিক বাহিনীর সেবা করতে পারেন না। তিনি বলেন, বিচার বিভাগের সংস্কার এবং দখলদারিত্বকে আলাদা করতে পারছেন না তিনি।
জরিপে দেখা গেছে, ইসরাইলি তরুণদের মধ্যে সামরিক বাহিনীতে যোগদান প্রত্যাখ্যানের প্রতি সমর্থন বাড়ছে। সমালোচকেরা অভিযোগ করছেন, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দুর্নীতির অভিযোগে বিচার এড়াতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করছেন। ছাত্ররা এখন বলছে, স্বৈরশাসকে পরিণত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা লালনকারী নেতাদের তদারকিতে থাকা সেনাবাহিনীতে তারা যোগ দিতে পারেন না।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর