কাতালোনিয়ার ওপর সরাসরি শাসন ব্যবস্থা জারি করতে বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসেছে স্পেন। আর এই বৈঠকের মধ্য দিয়েই আশা করা হচ্ছে, সেখানে সরাসরি শাসন ব্যবস্থা চালু করার সকল ব্যবস্থা পাকাপোক্ত হতে যাচ্ছে।
স্বাধীনতার দাবিতে গণভোটে কাতালোনিয়ার জনগণের মতামত প্রতিফলিত হয়েছে বলে দাবি করার তিন সপ্তাহ পর স্পেন এই বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসেছে। গণভোটের ফলাফল কাতালোনিয়া নিজেদের পক্ষের বলে মনে করলেও স্পেন এর ঘোর বিরোধিতা করছে। তারা বলছে, কোনোভাবেই তারা কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার দাবিকে মেনে নেবে না। কারণ এই দাবি মেনে নেওয়ার অর্থই হলো ভবিষ্যতে স্পেনকে টুকরো টুকরো করে ফেলা। স্পেনের সুপ্রিম কোর্টও ওই দাবিকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছে। এই অবস্থায় কাতালোনিয়া ও স্পেনের অবস্থা অনেকটা এখন মুখোমুখি। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই স্পেনে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক হচ্ছে। এদিকে কাতালান নেতা কার্লেস পুজদেমন বলেছেন, গণভোটের ফলাফলে তাদের জয়লাভের অর্থই জনগণ তাদের স্বাধীনতার পক্ষে ম্যান্ডেট দিয়েছে। কিন্তু স্পেন সরকার এর বিরুদ্ধাচরণ করে বলেছে, তারা কখনোই এই দাবিকে মেনে নেবে না। প্রয়োজনে তাদের কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে কেন্দ্র থেকে শাসন করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্পেনের সংবিধানের ১৫৫ অনুচ্ছেদ কার্যকর করার বিষয়টি অনুমোদিত হবে, এই অনুচ্ছেদে সংকটকালে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ওপর সরাসরি শাসন জারি করার বিধান রয়েছে।
এই অনুচ্ছেদটি ব্যবহার করে স্পেনে চার দশকের গণতন্ত্রে প্রথমবারের মতো কোনো স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার পথে আছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। অন্যান্য পদক্ষেপের মধ্যে কাতালোনিয়ার আঞ্চলিক পুলিশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের বিষয়টিও আছে। পাশাপাশি কাতালানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর নিয়ন্ত্রণও নিয়ে নেওয়া হতে পারে। তবে ১৫৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো অঞ্চলের স্বায়ত্তশাসন পুরোপুরি বাতিল করার ক্ষমতা দেওয়া হয়নি কেন্দ্রীয় সরকারকে। সেই ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার কাতালোনিয়ার কর্মকর্তাদের জায়গায় নিজেদের অনুগত কর্মকর্তাদের দায়িত্বে নিয়োগ করতে পারে কিংবা আঞ্চলিক পার্লামেন্ট বাতিল করে নতুন নির্বাচনের আয়োজনের পথে যেতে পারে।