সৌদি আরব গত ৫ ফেব্রুয়ারি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া এবং গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকবে না বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দিয়েছে সৌদি আরব।
বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি বলেছেন, সৌদি আরব এবং ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক বলে বাইডেন প্রশাসন ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে।
কারবিকে দায়ী করা মন্তব্যের আলোকে ফিলিস্তিন ইস্যুতে ওয়াশিংটনের কাছে তার অবিচল অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য রাজ্যটি বিবৃতি জারি করেছে, মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
কারবির এই বক্তব্যের পর সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিবৃতি দিল। এতে বলা হয়েছে, কারবির ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনের বিষয়ে নিজেদের দৃঢ় অবস্থানের কথা ওয়াশিংটনকে পরিষ্কার করতে এ বিবৃতি দেওয়া হলো।
২০২০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে সৌদি আরব মৌন সম্মতি দেওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা চলছে।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে চলমান যুদ্ধে প্রেক্ষিতে সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে ২০২৩ সালের অক্টোবরে বলেছিল, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য মার্কিন-সমর্থিত পরিকল্পনাগুলি নিয়ে ভাবছে না সৌদি আরব।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের বৈঠক হয়। পরদিন দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক নিয়ে ব্লিঙ্কেন সৌদি যুবরাজ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তবে তিনি চান গাজায় যুদ্ধের অবসান হোক।