গাজায় যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস একটি প্রস্তাব দিয়েছে। কাতার ও মিসরের মধ্যস্ততায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের পাঠানো প্রস্তাবের জবাব হিসেবে তারা এই প্রস্তাব পেশ করেছে।
রয়টার্সের হাতে আসা খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে যে হামাস ১৬৫ দিনের যুদ্ধবিরতি এবং এরপর স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ চায়। আর ১৬৫ দিনের যুদ্ধবিরতি হবে তিনটি ধাপে, প্রতিটিতে ৪৫ দিন করে।
হামাসের প্রস্তাবে তাদের হাতে আটক ইসরাইলি বন্দীদের মুক্তির কথাও বলা হয়েছে। এছাড়া গাজার পুনর্গঠন শুরু, ইসরাইলি বাহিনীর পূর্ণ প্রত্যাহার, আটক বন্দীদের মধ্যে যারা মারা গেছে, তাদের লাশ ফেরতের ব্যবস্থা করা হবে।
যুদ্ধবিরতি প্রয়াসকে জোরদার করার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে রয়েছেন। তিনি গত রাতে ইসরাইলে পৌঁছেছেন। এর আগে তিনি সৌদি আরব এবং মিসর সফর করেছেন।
হামাসের প্রস্তাবে প্রথম ৪৫ দিনের প্রস্তাবে সকল ইসরাইলি নারী বন্দী, ১৯ বছরের কম বয়সী পুরুষ বন্দী, বয়স্ক এবং অসুস্থদের মুক্তির কথা বলা হয়েছে। এর বিনিময়ে ইসরাইলি কারাগারগুলোতে আটক ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের মুক্তির কথা বলা হয়েছে।
দ্বিতীয় পর্বে অবশিষ্ট বন্দীদের মুক্তি দেবে হামাস। আর তৃতীয় ধাপে মৃত ব্যক্তিদের লাশ ফেরত দেয়া হবে। তৃতীয় ধাপের পর হামাস যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধের একটি চুক্তি চাচ্ছে।
প্রস্তাবে হামাস ইসরাইলের কারাগারে থাকা ১৫ শ’ ফিলিস্তিনির মুক্তি দাবি করেছে। এদের এক-তৃতীয়াংশকে ইসরাইল যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে।
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে গাজার বেসামরিক নাগরিকদের জন্য খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তা বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে। তারা দিনে ৫০০ করে ত্রাণ সরবরাহ করার দাবি করেছে।
সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল