গাজায় হামাস-ইসরাইল সংঘাত বন্ধে মানবিক যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবে আবারও ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হামাস ও ইসরাইলের সংঘাত শুরু হওয়ার পর নিরাপত্তা পরিষদে ওঠা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে এটি যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় ভেটো। খবর রয়টার্স।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এই ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। আলজেরিয়ার প্রস্তাবিত এই খসড়া প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়ে এ দিন ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১৩টি দেশ। তবে ভোটদানে বিরত থাকে যুক্তরাজ্য।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ১৫টি দেশের মধ্যে ১৩টি দেশের যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দেয়ার মাধ্যমে ফুটে উঠেছে-ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরাইলি বর্বরতা বন্ধ হোক এমনটি চাচ্ছে বিশ্বের সব দেশ।
জাতিসংঘে আলজেরিয়ার দূত আমার বেন্ডজামা ভোটের আগে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে বলেছিলেন, এই খসড়া প্রস্তাবে ভোট হলো ফিলিস্তিনিদের জীবনের অধিকারের প্রতি সমর্থন। বিপরীতে, এর বিরুদ্ধে ভোটদান তাদের ওপর নৃশংস সমন্বিত সহিংসতা ও শাস্তির প্রতি সায় দেয়া।
ভোটের পর ব্রিটেনের জাতিসংঘ দূত বারবারা উডওয়ার্ড বলেন, এই খসড়া প্রস্তাবের মতো শুধু যুদ্ধবিরতির আহ্বানে কাজ হবে না। লড়াই বন্ধ এবং পুনরায় তা শুরু হওয়া ঠেকানোর উদ্যোগের শুরুর উপায় হলো জিম্মিদের মুক্তি ও ত্রাণের প্রবেশসহ একটি বিরতি।
প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের ভেটো দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে। এদের কোনো একটি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিলে তা পাস করা যায় না।
এদিকে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও রাফাহতে ইসরাইলের স্থল অভিযানের বিরোধিতা করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে সব জিম্মিকে মুক্তি এবং গাজায় অবাধ মানবিক ত্রাণ প্রবেশের আহ্বান জানানো হয়েছে। রয়টার্সের হাতে আসা খসড়া অনুযায়ী, নিরাপত্তা পরিষদকে যত দ্রুত সম্ভব গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রতি সমর্থন জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া সব জিম্মিকে মুক্তি দেয়া ও গাজায় মানবিক সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে সব বাধা তুলে নেয়ার কথাও আছে খসড়ায়। প্রস্তাবে রাফাহতে স্থল আক্রমণ না চালাতে ইসরাইলকে সতর্ক করাও হয়েছে।
অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় অন্তত ২৯ হাজার ৯২ জন নিহত এবং প্রায় ৭০ হাজার জন আহত হয়েছেন।