পিএমএল-এন-এর মরিয়ম নওয়াজ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। প্রথমবারের মতো নারী মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের কন্যা মরিয়ম। পাকিস্তানের ৭ দশকের বেশি সময়ের ইতিহাসে এবারই প্রথম কোনো প্রদেশ নারী মুখ্যমন্ত্রী পেল।
পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ এর প্রার্থী মরিয়ম ২২০ ভোট পান। পাঞ্জাব পরিষদের স্পিকার মালিক আহমেদ খান ফল ঘোষণা করেন।
পিএমএল-এনের প্রতিদ্বন্দ্বী ও ইমরান খানের দলের জোট সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) প্রার্থী আফতাব খান নির্বাচন বর্জন করেন। তাই তিনি কোনো ভোট পাননি।
অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার খান তাকে কথা বলতে না দেওয়ায় তিনি ও অন্যান্য এসআইসি আইনপ্রণেতারা অধিবেশন বর্জন করেন।
এদিকে, নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলিতে তার বিজয়ী বক্তৃতায় বলেন, ‘রাজনীতিক হিসেবে যাত্রাপথে আমি গ্রেপ্তার হয়েছি। আমার বাবা গ্রেপ্তার হয়েছেন। আমি মাকে হারিয়েছি। তবুও আমার মধ্যে প্রতিশোধের কোনো মনোভাব নেই।
মরিয়ম দৃঢ়ভাবে আরও বলেছেন, পুলিশের উচ্চ হস্তক্ষেপের বিষয়ে জিরো টলারেন্স থাকবে। গত সপ্তাহে তক্ষশীলার ঘটনার তদন্ত করা হবে।
তক্ষশিলায় শনিবার এক পুলিশ একজন বয়স্ক নারীকে চড় মারে ও তাকে মাটিতে ঠেলে দেয়। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
মুখ্যমন্ত্রী মরিয়মের কাঁধে পড়বে পাঞ্জাবের ১২ কোটি ৭০ লাখ মানুষের দায়িত্ব। পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষই এ প্রদেশের বাসিন্দা।
৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ও চারটি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়। পাঞ্জাবে সবচেয়ে বেশি ১৩৮ আসনে জয় পেয়েছে পিএমএল-এন। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১৪ আসন পেয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
পিটিআই-সমর্থিতদের বাইরে যে ২৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন, তাদের মধ্যে ২০ জন পিএমএল-এনে যোগ দিয়েছেন। এতে পিএমএল-এনের আসনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫৮।