সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই ইরানে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। আজ স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। তবে ভোটের সময় বাড়ানো হতে পারে বলে আভাস মিলেছে।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, ইরানের সাড়ে ৮ কোটির বেশি জনসংখ্যার মধ্যে ৬ কোটি ১০ লাখ ভোটার। সারা দেশে প্রায় ৫৯ হাজার ভোটকেন্দ্র রয়েছে। চার বছর মেয়াদে ২৯০ আসনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৫ হাজারের বেশি প্রার্থী। এর মধ্যে নারী প্রার্থী রয়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ।
পার্লামেন্ট সদস্যের পাশাপাশি ‘অ্যাসেম্বলি অব এক্সপার্টস’ নির্বাচনেরও ভোট চলছে দেশটিতে। ৮৮ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ পরিষদ আট বছরের জন্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়। এবার মোট ১৪৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটে নির্বাচিত বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্যরা ইরানের সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচন করে থাকেন। ১৯৮৯ সাল থেকে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সর্বোচ্চ নেতার পদে আসীন রয়েছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির প্রশাসনকে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। এমন বাস্তবতায় আজকের নির্বাচন মূলত ইরানের বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর বৈধতার পরীক্ষার নির্বাচন হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক বিশ্লেষণে বলা হয়, ইরানে ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লব হয়। তারপর থেকে দেশটিতে এ শাসন ব্যবস্থাই চলে আসছে। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত নানা সময়ে ইরানের শাসকগোষ্ঠীকে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। তবে ২০২২-২৩ সময়ে দেশটির শাসকদের যে ধরনের বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছে, তার মতো আগে আর হয়নি। বিশেষত লম্বা সময় ধরে নানা ইস্যুতে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে ইরানের প্রশাসনকে।