মালদ্বীপের বুক থেকে ভারতীয় সেনাকে সরে যাওয়ার বার্তা দিয়ে, এবার দেশটি চীনের থেকে বিনামূল্যে সামরিক সহায়তা মূলক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। মালদ্বীপের চীনপন্থি কূটনীতি বহু দিন ধরেই দিল্লির স্ক্যানারে ছিল। এরপর সদ্য জিনপিং-মইজ্জুদের এ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতিতে বেশ তাৎপর্য বয়ে আনছে।
এদিকে, মালদ্বীপে ভারতীয় সেনাকে প্রবেশ করতে নিষেধ করে কার্যত ডেডলাইন স্থির করে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মইজ্জু। সদ্য চীনের সঙ্গে তার দেশের এই হাই-প্রোফাইল চুক্তি স্বাক্ষরের পরই মইজ্জু বলেছেন, ১০ মের পর মালদ্বীপে আর কোনও ভারতীয় সেনা প্রবেশ করতে পারবে না। এমনকি, সেখানে সেদেশে সেনার উর্দি ছাড়াও কোনও ভারতীয় সেনা সেদেশে সাধারণ পোশাকেও পা রাখতে পারবে না বলে হুঙ্কার দিয়েছেন তিনি।
চীন-মালদ্বীপ চুক্তি যাতে মালে ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্ক আরও পোক্ত হয়, তার দিকে তাকিয়ে দুই দেশ সামরিক সহায়তা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তি অনুযায়ী মালদ্বীপকে সামরিক সহায়তা বিনামূল্যে দেবে চীন। দুই দেশের সামরিক সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা করতে সদ্য মালদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ ঘাসান মউমুন দেখা করেন চীনের মেজর জেনারেল ঝাং বাওকুনের সঙ্গে। বাওকুন ‘ইন্টারন্যাশনাল মিলিটারি কোঅপারেশন অফ চায়না’র ডেপুটি ডিরেক্টর। এদিকে, এই চুক্তিতে আর কি কি রয়েছে, তা সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই মালদ্বীপের জলসীমায় ভারত, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের সেনার ত্রিদেশীয় একটি মহড়া আয়োজিত হয়। সেই সময় চীনের গবেষণা ধর্মী জাহাজ, শিয়াং ইয়াং হং৩ যাকে ভারত গুপ্তচর জাহাজ বলে সন্দেহ করে, সেই জাহাজটি মালদ্বীপের বন্দরে নোঙর করে। এই জাহাজ ঘিরে আপত্তি তোলে দিল্লি। এদিকে, মালদ্বীপ বলে, শুধুমাত্র সামগ্রী নিতে সেখানে নোঙর করছে চীনের জাহাজ। দেখা যাচ্ছে, সেই ঘটনার পরই মালদ্বীপের সঙ্গে চীনের সামরিক সহায়তার বিষয়ে এই হাইভোল্টেজ চুক্তি হয়েছে। এটিকে চীনের কাছে ভারতের একটি বড় রাজনৈতিক পরাজয় হিসাবে দেখা হচ্ছে। সূত্র: এএফপি।