দক্ষিণ ইয়েমেনে একটি কার্গো জাহাজে হাউছি যোদ্ধাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তিন ক্রু সদস্য নিহত হয়েছে। হাউছিদের হামলায় এই প্রথম কেউ নিহত হলো।
হামলার পর বার্বাডোসের পতাকাবাহী ট্রু কনফিডেন্স নামের জাহাজটি পরিত্যক্ত হয়। জাহাজটিতে আগুন লেগে গেছে। সে অবস্থাতেই এটি সাগরে ভাসছে। বুধবার ১১.৩০ জিএমটি সময়ে এই হামলা হয় বলে মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে।
আর হাউছিরা বলছে, গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে তারা এই আক্রমণ চালাচ্ছে।
ইরান-সমর্থিত হাউছিরা নভেম্বর থেকে হামলা শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র জানুয়ারিতে তাদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা শুরু করে। কিন্তু তা এখন পর্যন্ত হাউছিদের হামলা বন্ধ করতে পারেনি।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইয়েমেনের সেনাবাহিনী বলে দাবি করা ব্যক্তিরা রেডিওতে ট্রু কনফিডেন্স হামলার প্রশংসা করার পর বুধবার এই হামলা চালানো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, লাইবেরিয়ার মালিকানাধীন জাহাজটির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো পরিষ্কার নয়, তবে ক্রুরা জাহাজ থেকে পালিয়ে যান, লাইফবোট ব্যবহার করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধজাহাজ ও ভারতীয় নৌবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
বুধবার রাতে ইউকেএমটিও স্বীকার করেছে, জাহাজটিকে তাদের ক্রুরা পরিত্যাগ করেছিলেন। এটি আর কমান্ডের অধীনে নেই।
হাউছিরা তাৎক্ষণিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে হামলার কথা স্বীকার করতে সাধারণত কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে।
ইসরাইল-হামাস যুদ্ধকে কেন্দ্র করে নভেম্বর থেকে হাউছিরা বারবার লোহিত সাগর ও এর আশেপাশের পানিসীমায় জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
দেড় মাসের বেশি সময় ধরে হাউছি বিদ্রোহীদের উপর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিমান হামলা চালানোর পরও তারা উল্লেখযোগ্য হামলা চালাতে সক্ষম। এর মধ্যে রয়েছে গত মাসে সার বহনকারী একটি জাহাজ রুবিমারে হামলা এবং কয়েক মিলিয়ন ডলার মূল্যের একটি আমেরিকান ড্রোন ভূপতিত করা। মালবাহী জাহাজটি বেশ কয়েক দিন ভেসে থাকার পর শনিবার ডুবে যায়।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা, বিবিসি