রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইউক্রেন সফর স্থগিত করেছেন কারণ তিনি একজন কাপুরুষ।
ফ্রান্সের এলিজি প্যালেস সোমবার ঘোষণা করেছে যে ম্যাক্রোঁর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ইউক্রেন সফর আগামীতে যে কোনো সময় অনুষ্ঠিত হবে।
এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে ফরাসি নেতার ইউক্রেন সফর তৃতীয়বারের মতো বিলম্বিত হলো। ম্যাক্রোঁ প্রাথমিকভাবে গত মাসে দ্বিপক্ষীয় সুরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য কিয়েভ সফরের পরিকল্পনা করেছিলেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্যারিস সফরের সময় নথিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফরাসি কূটনীতিকের বরাত দিয়ে সোমবার পলিটিকো লিখেছে, কিয়েভে তাড়াহুড়ো করার পরিবর্তে ম্যাক্রোঁ মিত্রদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ‘প্রয়োজনীয় সময়’ নিতে চান, যাতে ‘বাস্তব ফলাফল পাওয়া যায়’।
সম্প্রতি ফরাসী প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার প্রতি তার কঠোর বক্তব্য বাড়িয়েছেন। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে ইউক্রেনে পশ্চিমা সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। গত মঙ্গলবার প্রাগে তিনি ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের মধ্যে কিয়েভের প্রতি সমর্থন বাড়ানোর জন্য ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইউরোপ এমন সময় পার করছে যেখানে কাপুরুষ না হওয়াই উপযুক্ত হবে।
ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ পৃষ্ঠপোষক যুক্তরাষ্ট্রের তহবিল বন্ধ করে দিতে পারে। এমন উদ্বেগের মধ্যে ন্যাটো সদস্যরা কিয়েভকে সামরিক সহায়তা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, ইউক্রেনের জন্য এ পর্যন্ত বরাদ্দকৃত সব অর্থই (১১৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি) খরচ করেছে ওয়াশিংটন। মার্কিন কংগ্রেসে অতিরিক্ত ৬০ বিলিয়ন ডলার তহবিল এখনও আটকে রয়েছে, যদিও সম্প্রতি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে এই অর্থ কিয়েভকে দেওয়ার পরিবর্তে ঋণ দেওয়া উচিত।
মস্কো মনে করে, ইউক্রেনকে পশ্চিমা সামরিক সহায়তা সংঘাতের গতিপথ পরিবর্তন করতে সামান্যই ভূমিকা রাখবে, অন্যদিকে শত্রুতা বাড়াচ্ছে এবং অপ্রয়োজনীয় মৃত্যুর কারণ হচ্ছে। ইউক্রেনে পশ্চিমা সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনা সম্পর্কে ম্যাক্রোঁর বক্তব্যের বিষয়ে মন্তব্য করে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সতর্ক করে বলেছেন, এটি করা হলে ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষ ‘অনিবার্য’ হয়ে উঠবে।