বাগেরহাট প্রতিনিধি॥
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে মানছুর শেখ (৩৫) নামে একজন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার বিকালে মোড়েলগঞ্জ উপজেলার হোগলাপাশা ইউনিয়নের বৌলপুর বাজারে সংঘবদ্ধ প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা মানছুরকে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের পর বৌলপুর বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। হত্যাকান্ডের পর বাজারে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। সন্ধ্যায় খবর পেয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে কারা কেন মানছুরকে হত্যা করেছে তা পুলিশ নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে পুলিশের ভাষ্য নিহত মানছুর শেখ পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে অন্তত ১৬টি মামলা রয়েছে। এছাড়া একটি মামলায় মানছুরকে ১০ বছরের সাজাও দিয়েছে আদালত। নিহত মানছুর শেখ মোরেলগঞ্জ উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের মৃতঃ শেখ আব্দুল বারেকের ছেলে। হোগলাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম নান্না ঘটনাস্থল থেকে সন্ধ্যায় বলেন, বৌলপুর বাজারের রাস্তায় অজ্ঞাত ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে আমাকে খবর দেয়। আমি সেখানে গিয়ে দেখি তার গলাসহ শরীরের একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। পরে আমি পুলিশকে খবর দেই। নিহত মানছুর পাশ^বর্তি রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ছোট কুমারখালী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কেন কি উদ্দেশ্যে এই বাজারে এসেছিলেন তা বলতে পারব না। তবে ওই হত্যাকান্ডের পর ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে বাজারের সব ব্যবসায়িরা দোকানপাট বন্ধ করে চলে যান। তাই ওই সময়ে যারা বাজারে ছিল তারা না থাকায় মানছুরকে কারা হত্যা করেছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বৈলপুর বাজারের একাধিক বাসিন্দা বলেন, ৬/৭ জন লোক আনুমানিক বিকেল ৪টার দিকে ধারালো অস্ত্র হাতে বাজারে আসেন। তারা হঠাৎ করে সামনে একজন লোককে পেয়ে কিছু বুঝে ওঠার আগে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এসময় ওই লোকটি রাস্তার উপরে পড়ে গেলে তার গলায় কোপ দিয়ে চলে যায়। এই দেখে বাজারের সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়িরা আতঙ্কিত হয়ে দোকানপাট বন্ধ করে পালিয়ে যান। মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল আলম ঘটনাস্থল থেকে সন্ধ্যায় বলেন, অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের কোপে মানছুর শেখ ঘটনাস্থলেই মারা যান। নিহত মানছুর শেখ মোরেলগঞ্জ পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। সে পলাতক ছিলেন। মঙ্গলবার বিকালে মানছুর কেন পাশ^বর্তি বৌলপুর বাজারে এসেছিলেন এবং কারা কি কারনে তাকে হত্যা করেছে তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।