• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৮ অপরাহ্ন

উ. কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করবে জাপান

আপডেটঃ : বুধবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৭

যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা অস্ত্র দিয়ে জাপান আকাশেই উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১২ দিনের এশিয়া সফরে ট্রাম্প প্রথমেই জাপানে গেছেন। গত সোমবার ট্রাম্পকে নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। সেখানে আবেও বলেন, যদি প্রয়োজন পড়ে তবে তার দেশ মাঝপথেই ক্ষেপণাস্ত্র রুখে দিতে সক্ষম। স¤প্রতি জাপানের উপর দিয়ে দুইটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া, যেগুলো জাপান সাগরে গিয়ে পড়ে। পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর আগে জাপানকে সাগরে ডুবিয়ে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। জাপানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, আবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিপুল পরিমাণ সামরিক রসদ কিনতে চলেছেন। উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করে ট্রাম্প বলেন, যখন এসব রসদ জাপানে পৌঁছে যাবে তখন আবে সেগুলোকে (ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে) আকাশেই ধ্বংস করে ভূপাতিত করতে পারবেন। তবে ট্রাম্পের এই সফরে জাপানের সঙ্গে ঠিক কখন যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দীর্ঘদিন ধরে সামরিকভাবে দুইদেশ ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং জাপানে যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি আছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমবারের মত জাপান সফরে যাওয়া ট্রাম্প টোকিওর কাছে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ঘাঁটি পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া, তিনি জাপানে আমেরিকান ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন। জাপান থেকে তিনি দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, ভিয়েতনাম এবং ফিলিপিন্স সফর করবেন। রয়টার্স,এনএইচকে। অপর এক খবরে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়াস্থ মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ব্যক্তিগতভাবে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন। এর মধ্যদিয়ে দেশটিতে মার্কিন এ নেতার দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শুরু হলো। গতকাল মঙ্গলবার এ খবর জানায় সিনহুয়া। বারো দিনের এশিয়া সফরের দ্বিতীয় ধাপে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের উপকণ্ঠে ওসান বিমান ঘাঁটিতে দুপুরের দিকে অবতরণ করেন। সেখানে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিউং-হোয়া তাকে শুভেচ্ছা জানান। পরে সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে তিনি সিউলের প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে ক্যাম্প হাম্পরিসে যান। ক্যাম্প হাম্পরিস হচ্ছে পিয়ংতায়েকে নতুন করে সংস্কার করা যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটি। প্রেসিডেন্ট মুন এ সামরিক ঘাঁটিতে ট্রাম্পকে ব্যক্তিগতভাবে অভিনন্দন জানান। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এটিকে ট্রাম্পের জন্য একটি ব্যতিক্রমী প্রোটোকল হিসেবে বর্ণনা করেছে। প্রকৃতপক্ষে সিউলে প্রেসিডেন্টের দপ্তর বøু হাউজে মার্কিন এ নেতাকে স্বাগত জানানোর পরিকল্পনা মুনের। ক্যাম্প হাম্পরিসে দক্ষিণ কোরিয়া ও ইউএস ফোর্সেস কোরিয়ার (ইউএসএফকে) সদস্যদের সঙ্গে এ দুই নেতা দুপুরের খাবার খান। ক্যাম্প হাম্পরিসকে বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি হিসেবে দেখা হয়। সিনহুয়া।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ