মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রের শীর্ষ কমান্ডার এয়ার ফোর্স জেনারেল জন হাইটেন বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবৈধ পারমাণবিক হামলার নির্দেশ অমান্য করবেন। মার্কিন সেনাবাহিনীর স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের প্রধান কানাডায় একটি নিরাপত্তা কনফারেন্সে বলেন, এমন নির্দেশ আসলে কী করা হবে সেটা নিয়ে তিনি অনেক চিন্তা করেছেন।
জেনারেল হাইটেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের প্রধান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন সময় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ইঙ্গিত দিয়েছেন। যদি কখনো তিনি সেগুলো ব্যবহারের নির্দেশ দেন তাহলে কী করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে হাইটেন বলেন, আমার মনে হয় কিছু মানুষ আমাদের বোকা ভাবে। আমরা বোকা নই, এমন পরিস্থিতি হলে কী করা হবে সেটা নিয়ে অনেক চিন্তা ভাবনা করি। যদি আপনার এটা নিয়ে দায়িত্ব থাকে তাহলে আপনি কিভাবে সেটা নিয়ে না ভেবে থাকতে পারবেন।
হাইটেন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের প্রধান হিসেবে আমি প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দেই, কী করতে হবে সে ব্যাপারে তিনি আমাকে নির্দেশ দেবেন। যদি তার নির্দেশ অবৈধ হয়, তাহলে আমি প্রেসিডেন্টকে বলব মি. প্রেসিডেন্ট আপনি যেটা করতে চাইছেন সেটা অবৈধ। তখন তিনি হয়ত বলবেন, তাহলে বৈধ পদক্ষেপ কী হবে? আর তখন আমরা অন্যান্য বিকল্পগুলো নিয়ে আলোচনা করব। তিনি যোগ করেন, কেউ যদি কোনো অবৈধ নির্দেশ বাস্তবায়ন করে তাহলে তাকে হয়তো সারাজীবনের জন্যে কারাবন্দী থাকতে হতে পারে।
হাইটেনের বক্তব্য এ সময় আসলো যখন ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান উভয় দলের সিনেটররা ট্রাম্পের যুদ্ধ ঘোষণা, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার ও আন্তর্জাতিক চুক্তি বাতিলের কর্তৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিশেষ করে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি অপমানসূচক মন্তব্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতিসংঘে দেয়া বক্তব্যে ট্রাম্প ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষের দেশ উ. কোরিয়াকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংসের হুমকি দিয়েনে।
কয়েকজন সিনেটর প্রেসিডেন্টের পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের ক্ষমতায় পরিবর্তন আনার আইনের প্রস্তাব আনতে চেয়েছেন। গত মঙ্গলবার গত চার দশকে প্রথমবারের মত মার্কিন প্রেসিডেন্টের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষমতার বিষয়ে কংগ্রেসনাল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রয়টার্স।