‘সুদৃঢ় ঐক্যই রুখে দিতে পারে সকল ষড়যন্ত্র’- স্লোগানে বিএনপির বর্ধিত সভা শুরু হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সভায় অংশ নিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় থেকে তৃণমূলের সাড়ে ৩ হাজার নেতাকর্মী।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল সংলগ্ন মাঠে বেলা ১১টা ৫ মিনিটে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সভা শুরু হয়। এতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভার উদ্বোধন ও সমাপনী পর্বে বক্তব্য রাখবেন তিনি।
বর্ধিত সভায় উপস্থিত রয়েছেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান এবং হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
এছাড়াও দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সকল কর্মকর্তা ও সদস্যগণ, সকল মহানগর, জেলা, থানা-উপজেলা-পৌর কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক ও সদস্য সচিববৃন্দ রয়েছেন। এর বাইরেও বিএনপির ১১টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবগণ উপস্থিত আছেন।
দীর্ঘসময় পর দলের এ আয়োজনে সারা দেশ থেকে নেতাকর্মীরা দলে দলে যোগ দিয়েছেন। দলের কাছে নিজেদের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরে বক্তব্য দেবেন। সেগুলো আমলে নিয়ে কর্মকৌশল নির্ধারণ করবে বিএনপি।
বর্ধিত সভা সফল করতে ছয়টি উপ-কমিটি করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- ব্যবস্থাপনা কমিটি (আহ্বায়ক- শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি), অভ্যর্থনা কমিটি (আহ্বায়ক- হাবিব উন-নবী খান সোহেল), আপ্যায়ন কমিটি (আহ্বায়ক- এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত), শৃঙ্খলা কমিটি (আহ্বায়ক- সুলতান সালাউদ্দিন টুকু), মিডিয়া কমিটি (আহ্বায়ক- মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল) এবং চিকিৎসা সেবা কমিটি (আহ্বায়ক- রফিকুল ইসলাম)।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ‘লো মেরিডিয়ানে’ বর্ধিত কমিটির সভা হয় যেখানে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বক্তব্য দেন। এর চারদিন পর ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় কারাবরণ করেন তিনি।