রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে গতকাল রোববার সকালে সাত বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষনের পর ছুরি দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িত ফজলু মিয়া(৪০)-কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্ত ফজলুর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে গাছপালা কেটে ফেলেন। এ নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ এনে উত্তেজিত জনতা মিঠাপুকুর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিককে ধাওয়া করলে তিনি আত্ন-রক্ষার্থে এক বাড়ীতে আশ্রয় নিলে উত্তেজিত জনতা তাকে প্রায় ৪ঘন্টা ধরে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
এলাকাবাসী ও হত্যার শিকার শিশুর স্বজনদের সুত্রে জানা যায় , শ্রীপুর গ্রামের ফজলু মিয়া প্রতিবেশী সাত বছরের এক শিশু কন্যাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষনের পর ধারালো ছুরি দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যার পর মরদেহ বালি চাপা দিয়ে রাখে। এক পর্যায়ে ফজলুর বাড়ির ভিতরে বালির নীচ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা ফজলুকে আটক করে তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন এবং গাছপালা কেটে ফেলেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক ফজলু কে থানায় নিয়ে যায়। এদিকে ওসি আবু বকর সিদ্দিক অভিযুক্ত ফজলুর বাড়ীতে আগুন ও গাছ কাটা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় তোপের মুখে পড়েন। বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে ধাওয়া করে একটি বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখেন। দীর্ঘ প্রায় ৪ ঘন্টা চেষ্টার পর পুলিশ সুপার, ইউএনও সেনাবাহিনী, র্যা ব, সিআইডি সহ বিভিন্ন দপ্তরের সহায়তায় ওসি আবু বকর সিদ্দিককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনী সহ পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন। পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। হত্যার শিকার শিশুটি ওই গ্রামের আরিফুল দম্পতির একমাত্র সন্তান। স্হানীয় বাসিন্দারা ফজলু মিয়ার ফাঁসি দাবি করে বিক্ষোভ করেছেন।