প্রেমে পড়লে মানুষ কিছুটা সঙ্গী নির্ভর হয়ে পড়ে। সঙ্গী পাত্তা না দিলে কিংবা কোনো কারণে মনোমালিন্য হলে মন খারাপ হয়ে যায়। আবার বিপদে সঙ্গীকে পাশে পেলে মুহূর্তেই মন ভালো হয়ে যায়। তবে প্রেম যে কেবল মন ভালো রাখে তা নয়। এটি অ্যাংজাইটি ও উচ্চ রক্তচাপও কমিয়ে দিতে পারে। এমন তথ্যই উঠে এসেছে একাধিক গবেষণায়।
২০১৯ সালে সাইকো ফিজিওলজিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুযায়ী, কঠিন পরিস্থিতিতে প্রিয় মানুষের কথা ভাবলে আপেক্ষিকভাবে রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে যায়। ভালোবাসার জোর কমিয়ে দিতে পারে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি।
প্রেমে পড়লে বেড়ে যায় হার্টবিট। পছন্দের মানুষকে দেখলে বুক ধড়ফড় করে, হাতের তালু ঘামতে শুরু করে। কোলাহলের মধ্যে থাকলেও চারপাশে শান্ত আর স্নিগ্ধ লাগে। এমন পরিস্থিতি কেবল মন নয়, হার্টের ওপরও প্রভাব ফেলে। যার প্রভাব স্বাস্থ্যের জন্য ভালোই।
প্রেমে পড়লে দেহে অক্সিটোসিন হরমোন নির্গত হয়। এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, দীর্ঘ দিন ধরে যারা রোমান্টিক সম্পর্কে রয়েছে তাদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি কম। এছাড়া রোমান্টিক যুগলরা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে বিশ্বাসী। এতে সম্পর্কে বন্ধন যেমন শক্তিশালী হয় তেমনি কমে রোগের ঝুঁকিও।
অস্বাস্থ্যকর সম্পর্ক যেখানে সম্মান-ভালোবাসা নেই, কেবল অপমান, অবহেলা ও ঘৃণা রয়েছে সেখানে কোনো মানুষই সুস্থ থাকতে পারেন না। কেবল মন নয়, টক্সিক সম্পর্ক স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। কিন্তু সম্পর্কের ভিত মজবুত হলে হার্টও ভালো থাকে। একটি সুন্দর সম্পর্ক জীবনযাপন ও স্বাস্থ্যকে সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করে।
যে সব যুগলরা কমিউনিকেশনে বিশ্বাসী, তাঁরা অহেতুক চিন্তা কম করে। একসঙ্গে হাসাহাসি করলে, মজাদার ভাবে জীবনকে উপভোগ করলে স্ট্রেস কমে যায়। শারীরিক মিলনও দু’জনের সম্পর্ককে আরও মজবুত করে তোলে। এই ধরনের বিষয়গুলো যেমন সম্পর্ককে সুন্দর করে তোলে, তেমনই হার্টের রোগের ঝুঁকি কমায়।
গবেষণা বলছে যেসব যুগল কমিউনিকেশনে বিশ্বাসী, তারা অহেতুক চিন্তা কম করে। একসঙ্গে হাসাহাসি বা মজা করে জীবন উপভোগ করলে স্ট্রেস অনেক কমে যায়। বিষয়গুলো বিবাহিত দম্পতির ক্ষেত্রেও একইরকম থাকে। শারীরিক মিলনও দুজনের সম্পর্ক আরও মজবুত করে তোলে। পাশাপাশি কমায় হার্টের রোগের ঝুঁকি।