হুমায়ুন রশিদ জুয়েল, কিশোরগঞ্জ:- লাদিক মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের ল্যমাত্রা নিয়ে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পুরোনো ভবনটি সংস্কারের অভাবে এই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে ভবনের পলেস্তর পড়ে আহত হয়েছে রোগীরা।
এমতাবস্থায় জরুরি স্বাস্থ্য সেবা, দুর্ঘটনা ও ভর্তিকৃত রোগীদের নিরাপত্তার স্বার্থে হাসপাতালের পুরোনো ভবন অকেজো ঘোষণা করে নতুন ১০০ শয্যার ভবন নির্মাণের জন্য পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাজীব,স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বরাবর পাঠানো আবেদন থেকে জানা যায়, তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ বিন্ডিংয়ে আগত রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয় এ অবস্থায় উক্ত হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আগত সর্বসাধারণকে চরম উদ্বিগ্ন আতঙ্কের মধ্যে সর্বদায় থাকতে হচ্ছে।
ভৌগলিক কারণে ৫০ শয্যার তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স করিমগঞ্জ, ইটনা, পার্শ্ববর্তী জেলার নান্দাইল
এবং নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া, মদন উপজেলা থেকে রোগীরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন। এ এলাকার লোকজনের আয়ের উৎস অনুযায়ী তারা উন্নত সেবা নিয়ে উপজেলার বাইরে যাওয়ার সুযোগ কম।
আবাসিক ভবনসহ পুরোনো হাসপাতালের দেয়াল ও ছাদের যে ফাটল ধরেছে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিছুদিন আগে জরুরি বিভাগে ছাদের নিচের অংশের প্লাভ এবং বৈদুতিক পাখা ভেঙে কর্মচারী আহত হয়। পুরোনো হাসপাতালের বৈদ্যুতিক লাইন সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যে কোনো সময় লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও হাসপাতালের প্রশাসনিক শাখায় বৈদ্যুতিক শর্ট সারকিজের শব্দ শোনা যায়। বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণে , ফ্যান, কম্পিউটার বিকল হয়ে যায় কিছু দিন আগে ইপিআই শাখার ভ্যাকসিন রাখার গ্রিমের ভোন্টেজ স্টেবিলাইজার পুড়ে যায়। ফলে হাসপাতালের প্রশাসনিক কাজসহ ইপিআই ব্যাকসিন সংরণের কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
জানা যায়, পার্শ্ববর্তী হাসপাতাল ভবনে পানি প্রবেশ করে। যার ফলে রোগীদের সার্বিক চিকিৎসাব্যবস্থা ব্যাহত হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহা-পরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি আরও বলেন, অত্র হাসপাতালের বহির্বিভাগে ৪৫০ থেকে ৩৫০ জন রোগী চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেন। হাসপাতালটি ৫০ শয্যা হলেও প্রতিদিন গড়ে ৬০-৭০ জন রোগী ভর্তি থাকেন।
এছাড়াও জরুরি বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৫০-৬০ জন রোগী জরুরিসেবা গ্রহণ করেন। অনুমোদিত ২৮ জন চিকিৎসক (বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ) পদের বিপরীতে বর্তমানে ও কয়েক জন চিকিৎসক পূরণকার থাকা অপর ২ জন বিভাগীয় মামলার ছকে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হ”েছ এবং একজন সংযুক্তিতে কর্মরত আছেন। সেই হিসাবে বর্তমানে ২৮ জন চিকিৎসকের বিপরীতে ও দুজন চিকিৎসকের এর মধ্যে একজন বুনিয়াদী প্রশিণে আছে ২০ জন চিকিৎসকের পদ শূন্য আছে। ১১ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও ১২ জন অন্যান্য চিকিৎসকসহ মোট ২৫ জন চিকিৎসকের পদ শূন্য থাকায় সার্বিক চিকিৎসাসেবা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
এ বিষয় তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার কর্মকর্তা ডা. অতিশ দাস রাজীব বলেন, হাসপাতালের ভবনের ছাদের পলেস্তারা পড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা বাধ্য হয়েই এই নিচ্ছি স্বাস্থ্যসেবা। ভবন সংস্কারের জন্য কর্তৃপরে কাছে আবেদন পাঠিয়েছি বহুবার কিš‘ আমরা ডাক্তার সংকটে সমস্যার প্রতিকারের অপোয় আছি।