রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করছেন। বুধবার (২৮ মে) সকাল থেকে হাসপাতালের সামনে অবস্থান করে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।
নুরে আলম বাবু নামের একজন বলেন, কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে আমরা আজ সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করছি। গতকাল আমাদের পরিচালকের গায়ে হাত তুলছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলা করেছে। পরিচালকের রুম ভাঙচুর করেছে।
তিনি বলেন, কোনো পক্ষ সংক্ষুব্ধ হলেই গায়ে হাত তোলে। এটা কেমন? সব কিছুরই তো একটা নিয়ম আছে।
হাসপাতালে আসা রোগীরা পড়েছেন বিপাকে। শিডিউল অনুযায়ী, অপারেশন করার কথা। করা যাচ্ছে না। আউটডোরে লাইন থাকলেও টিকিট দেওয়ার লোক নেই। রুমের সামনে লোক থাকলেও ডাক্তার ও কর্মকর্তা নেই। শুধু জরুরি বিভাগ চলছে।
বাবুল মিয়া নামের একজনের অপারেশনের তারিখ ছিল আজ। তার স্বজনদের হাসপাতালে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
সকালে সেবা প্রার্থীদের সঙ্গে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটে।
সম্প্রতি হাসপাতালটিতে চারজন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আহত রোগী বিষপান করে। এটিকে কেন্দ্র করে পরিচালক, চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা, গায়ে হাত তোলা, ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটছে। পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক খায়ের আহমেদ চৌধুরী বলেন, গতকালকের একটি অনভিপ্রেত ঘটনার কারণে স্টাফরা ক্ষুব্ধ হয়েছে। যার কারণে তারা কর্ম বিরতিতে গেছে আমি জানি। তবে আমি ছুটিতে, আমার পরিবর্তে আরেকজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গতকালের ঘটনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতকাল জুলাই যোদ্ধারা আমার কাছে এসেছিল। তারা আমার রুমেই নিজেদের মধ্যে তর্কে লিপ্ত হয়। মারামারি করে। কেউ আবার পেট্রোল নিয়ে আসছে। পেট্রোল কী জন্য নিয়ে আসছে, জানি না। নিজেরা সুইসাইডাল অ্যাটাক করবে, না হাসপাতাল জ্বালিয়ে দিতে আনছে জানি না। কারণ, তাদের মধ্যে নানান বিভাজন আছে। এরপরে একপক্ষ আবার আমাকে অবরুদ্ধ করে ফেলে। ২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিলাম। পরে জুলাই যোদ্ধারাই আমাকে নিরাপত্তা দিয়ে বের করে দিয়েছে।