ছেলের বিরুদ্ধে হুন্ডির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ভ্যানচালক বাবাকে প্রায় ২৬ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় ভ্যানচালক ফজলু প্রামাণিককে আটক করে থানায় আনে পুলিশ। পরে সোমবার
কুষ্টিয়ার খোকসা থানায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। ফজলু উপজেলার শোমসপুর ইউনিয়নের ধুসুন্ড গ্রামের বাসিন্দা। তাকে আটক করে থানায় আনেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) তুষার।
ভ্যানচালকের স্ত্রী তাসলিমা খাতুনের বলেন, মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুল গাফফার টোকন নামের এক ব্যক্তির ‘নূর এন্টার প্রাইজ’ নামের একটি হুন্ডি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আমার ছেলে সজল প্রামাণিক ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতো। সম্প্রতি ছেলেকে বেতন দেয়া বন্ধ করে দেন প্রবাসী আব্দুল গাফফার। বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি করার পর প্রথমে কয়েক লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলেন ওই প্রবাসী। এরপর টাকার জন্য মাঠের জমি লিখে দেয়ার চাপ দেন। দুই মাস আগে আমার ছেলের বিরুদ্ধে খোকসা থানায় ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন প্রবাসীর বাবা ইসলাম সর্দার।
তিনি আরও বলেন, অভিযোগ মিটিয়ে ফেলার জন্য খোকসা থানা পুলিশ আমার ছেলে সজলের ওপর চাপ দিতে থাকে। এক পর্যায়ে ছেলে সজল আত্মগোপনে চলে গেলে গত রোববার সন্ধ্যায় পুলিশের এসআই তুষার আমার স্বামী ফজলুকে বাড়ি থেকে টেনে-হিঁচড়ে পুলিশের গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যান।
এদিকে বৃদ্ধকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার কথা স্বীকার করে এসআই তুষার বলেন, বৃদ্ধের বিরুদ্ধে গোপন অভিযোগ রয়েছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আটক রাখা হয়েছে। তবে কী অভিযোগ রয়েছে তা তিনি বলতে পারেননি।
এ বিষয়ে খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মইনুল ইসলাম বলেন, ওই ব্যক্তির ছেলের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। সেই ছেলে পলাতক রয়েছে। তাই যাচাই-বাছাই করার জন্য তার বাবাকে থানায় আনা হয়েছে।
ছেলেকে না পেয়ে ২৬ ঘণ্টার বেশি একজন বৃদ্ধ বাবাকে থানায় আটকে রাখতে পারেন কি না, জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘রাত ৯টার দিকে আনা হয়েছে। যাচাই-বাছাই করে সত্যতা পেলে মামলা হবে। না পেলে ছেড়ে দেয়া হবে।