আনিসুর রহমান মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ- মুন্সিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী তালতলা ডহরী গৌরগঞ্জ খালের ভাঙ্গনের মুখে লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের ১৩০ বছরের প্রাচীন কাজিরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাশের কবরস্থান ফসলি জমি বাড়িঘর ও ব্রিজ সহ সিরাজদিখানার টঙ্গীবাড়ি নদীর পাড়ের মানুষ একের পর এক হারাচ্ছে বাড়িঘর বসত ভিটা ও ফসলি জমি। বর্ষা শুরুর আগেই খালের দুপাড়ে ভাঙ্গনে আতঙ্ক বিরাজ করছে নদীর পাড়ের মানুষের মাঝে। খালের স্রোত ও অবৈধ বাল্ব হেডের ঢেউয়ের চলার কারণে এ ভাঙ্গনের সৃষ্টি । স্থানীয়দের অভিযোগ ২০২৩ সালের ৫ই আগস্ট একটি বাল্ব হেড একটি যাত্রীবাহী ট্রলার মধ্যে সংঘর্ষের বাল্ব হেডের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় নারীও শিশু সহ দশ জনের নিহতর ঘটনার পর মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক এই খাল দিয়ে বাল্ব হেড চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
এই খালটি নিষিদ্ধ করা হলেও কিছু কু-চক্রের মহলের ছত্র ছায়ায় চাঁদার বিনিময় চলে এই বাল্ব হেড। এই চাঁদাবাজদের অন্যতম হোতা লৌহজং উপজেলার গাওদিয়া ইউনিয়নের (১)রুবেল মাদবর (২)রিপন ওস্তাকার সামুর বাড়ি গাওদিয়া (৩)ওসমান ওস্তাকার সামুর বাড়ি গাওদিয়া (৪)ফরিদা ভাবি ডহরি কলমা (৫)তাজুল ঢালী সামুর বাড়ি গাওদিয়া (৬)শাকিল ওস্তাকার শামুরবাড়ি গাওদিয়া (৭)আনোয়ার ঢালী সামুর বাড়ি গাওদিয়া (৮)শহর আলী সামুর বাড়ি গাওদিয়া (৯)ডিএম ওরফে মেলই ডি এম সহ আরো ১৫থেকে ২০ জনের একটি সেন্টিগ্রেড।প্রতিদিন এক একটি বাল্ব হেড থেকে ১৫০০হইতে ২০০০ টাকার বিনিময় তারা এই নিষিদ্ধ খাল দিয়ে বাল্ব হেডের পারাপারের কাজ করে থাকে। এ বিষয়ে রুবেল মাদবর ও ফরিদা ভাবিস সহ অনেকের সাথে যোগাযোগ করা হলে টাকার বিনিময়ে এই বাল্ব হেডের পারাপারের কথা স্বীকার করে। নদী ভাঙনে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন রাতদিন চলছে বাল্ব হেড একদিকে বাল্ব হেডের ঢেউ অপরদিকে আষাঢ়ের শুরুতেই টানা বর্ষণ ও নদীর স্রোত প্রতিনিয়ত ভাঙ্গন ভয়াবহ রুপ ধারণ করছে। আমাদের বাড়ি ঘর বসতভিটা ফসলি জমি এই খালে হারিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের জরুরী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
সিরাজদিখান উপজেলার আল আমিন ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলার আউটসাহী ইউপি সদস্য ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন প্রতি বর্ষার মৌসুমেই আমাদের এলাকার ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয় এতে তেমন কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এ ভাঙ্গনের বিষয়ে কাজিরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্বপন বিশ্বাস বলেন গত বছর আমার স্কুলের সামনের মাঠ ভাঙছে এ বছর বর্ষা শুরু হওয়ার সাথে সাথে ব্যাপক আকারে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। যেভাবে ভাঙছে যদি কোন সুরক্ষা ব্যবস্থা না করা হয়। তাহলে হয়তো অচিরে আমাদের স্কুলটি এই খালের মধ্যে বিলীন হয়ে যাবে ছোট বাচ্চারা স্কুলে বড় মাঠ না থাকায় সে খেলাধুলা করে স্কুলের সামনের ছোট্ট মাঠে যে কোন সময় খালের পানিতে পড়ে একটি দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ পানি উন্নয়নের বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল ইসলাম সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন কাজিরগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই ১০০ মিটার একটি বাধ নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে উন্নয়ন হয়েছে ওই স্থানে বাধ নির্মাণ করার কাজ চলছে তিনি আরো বলেন ওই খালে যে সমস্ত বাড়ি-ঘর মাদ্রাসার সামনে ভাঙ্গন বেশি দেখা দিলে আমরা সেই সমস্ত স্থানে ভাঙ্গনরোধে কাজ করব।