লিওনেল মেসি কি ফুরিয়ে গেছেন? উত্তরটা যেন পেয়ে গেলেন মেসির সমালোচকরা। ৩৭ পেরোনো আর্জেন্টাইন অধিনায়ক এখনও কি দুর্দান্ত!
বলিভিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে আর্জেন্টিনা জিতলো ৬-০ ব্যবধানে। মেসি করলেন হ্যাটট্রিক, সঙ্গে আবার দুই অ্যাসিস্ট। অর্থাৎ ৬ গোলের পাঁচটিতেই অবদান রাখলেন বিশ্বকাপজয়ী ফুটবল কিংবদন্তি।
ঘরের মাঠে মেসি খেলতে নেমেছিলেন প্রায় এক বছর পর। দিনের হিসেবে ৩৩৪ দিন। এর মধ্যে কদিন আগে চোটেও পড়েছিলেন। মাঠের ফুটবলে তা কি বোঝা গেলো? মেসিকে মনে হলো টগবগ করতে থাকা এক তরুণ।
বুয়েনস এইরেসের মনুমেন্তালে দাপুটে খেলা ম্যাচের দুই অর্ধে তিনটি করে গোল করে আর্জেন্টিনা।
গোল উৎসবের একপেশে ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ১৯ মিনিটে এগিয়ে দেন মেসি। লতারো মার্টিনেজের পাস থেকে বল নিয়ে দৌড়ে যান বলিভিয়ার বক্সে। গোলরক্ষক একা হয়ে গিয়েছিলেন। মেসি গোল তুলে নিতে ভুল করেননি।
৪৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আর্জেন্টিনা। এই গোলেও অবদান মেসির। তার বাড়ানো পাসে ডান পায়ের টোকায় বল জালে পাঠান লতারো মার্টিনেজ।
প্রথমার্ধে যোগ করা সময়ে আরও এক গোলের যোগানদাতা মেসি। এবার হুলিয়ান আলভারেজকে দূরপাল্লার শটে বল বুঝিয়ে দেন আর্জেন্টিনা খুদেরাজ। ডান পায়ের শটে গোল করেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ স্ট্রাইকার।
দ্বিতীয়ার্ধে ৬৯ মিনিটে নাহুয়েল মলিনার পাস থেকে দলের চতুর্থ গোলটি করেন থিয়াগো আলমাদা। ম্যাচ তখন প্রায় শেষের পথে। কিন্তু মেসির যেন হ্যাটট্রিক করতে তর সইছিল না। দুই মিনিটের ব্যবধানে (৮৪ এবং ৮৬) দুই গোল করে সেটি পূরণ করে ফেলেন এই কিংবদন্তি।
নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন বাঁ পাশের পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে। দুই মিনিট পর হ্যাটট্রিক করেন বাঁ পায়ের শটে। ৬-০ গোলের বিশাল জয় নিশ্চিত হয় আর্জেন্টিনার।
১০ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে শীর্ষেই আছে আর্জেন্টিনা। এদিকে চিলিকে ৪-০ গোলে হারিয়ে সমান ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে কলম্বিয়া।